ছেলের কোপে বাবা নিহত

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক কিশোর ছেলের ধারালো অস্ত্রের কোপে তার বাবা নিহত হয়েছেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের জিউধরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে নিহত হাবিবুর রহমানের (৫৮) কিশোর ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬) পলাতক রয়েছে।
এদিকে গত রোববার দিবাগত রাতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের সাবিয়া গ্রামে মশিউর রহমান রিপন (৩৭) নামের এক ব্যক্তি তাঁর ৩৭ দিন বয়সী শিশুসন্তানকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
হাবিবুর রহমানের মামা নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সালাম মৃধা বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে হাবিবুরের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী সাফিয়া বেগমের ঝগড়া লেগেই থাকত। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ভোরে হাবিবের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাবিবুর ক্ষুব্ধ হয়ে ধারালো কাঁচি দিয়ে স্ত্রী সাফিয়াকে কোপানোর চেষ্টা করেন। তখন ছেলে জাহিদুল কাঁচি কেড়ে নিয়ে তাঁর বাবার ঘাড়ে কোপ দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান হাবিবুর। মোরেলগঞ্জের লক্ষ্মীখালী পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সুফিয়ান বলেন, লাশটির ময়নাতদন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। জাহিদুলকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
মৌলভীবাজার সদর থানা ও নিহত শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বছর খানেক আগে সাবিয়া গ্রামের সাজিদ উল্লাহর ছেলে মশিউর রহমানের সঙ্গে একই উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নের গোমরা গ্রামের মৃত আবদুল মন্নানের মেয়ে লুবনা আক্তারের বিয়ে হয়। মশিউর রহমান বেশ কিছুদিন থেকে যৌতুকের জন্য লুবনাকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। পাশাপাশি তিনি আবারও বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করে আসছিলেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। স্ত্রীকে মারধর করার পর মশিউর তাঁদের ৩৭ দিন বয়সী শিশুসন্তানকে নখ দিয়ে আঁচড় দিতে থাকেন। একপর্যায়ে শিশুটি মারা যায়। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল ভোরে মশিউরকে আটক করে এবং শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে পাঠায়।