তারেকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট

ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট
ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোল। আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা ও হত্যার অভিযোগে এই ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে।
ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত ব্যক্তি (ওয়ান্টেড পারসনস) হিসেবে তারেক রহমানের নাম-পরিচয় ও বিবরণ রয়েছে। তবে সেখানে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারির তারিখ উল্লেখ নেই।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ইন্টারপোলের বাংলাদেশ শাখা ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) প্রধান মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা অনেক দিন আগেই ইন্টারপোলে এ নোটিশ পাঠিয়েছিলাম।’
ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের ৬১ জন তালিকাভুক্ত ব্যক্তির নাম রয়েছে। তালিকায় সবার শেষে তারেক রহমানের নাম, ছবি ও বিবরণ রয়েছে। তাঁর আগে আছেন মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ড পাওয়া পলাতক আসামি আবদুল জব্বারের নাম।
ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে তারেক রহমান সম্পর্কে বিবরণে বলা হয়েছে, তাঁর জন্ম ১৯৬৭ সালের ২০ নভেম্বর। তিনি বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু ভাষা জানেন। এতে তারেক রহমানের উচ্চতাসহ শারীরিক বিবরণও আছে।
এ ব্যাপারে তারেক রহমানের অন্যতম আইনজীবী ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রথম আলোকে বলেন, 'বিষয়টি আমার জানা নেই।' তিনি আরও বলেন, 'ইন্টারপোল কোনো রাষ্ট্র বা সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডায় কাজ করে না বলেই আমি জানি।'

উল্লেখ্য, ইন্টারপোলের নোটিশে মামলার কথা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। তবে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করা হয়। এই গ্রেনেড হামলায় ২২ জন নিহত হন। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েক শ লোক আহত হন। ২০০৮ সালের ১১ জুন এ মামলায় ২২ জনকে আসামি করে সিআইডি প্রথম অভিযোগপত্র দেয়। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ মামলার অধিকতর তদন্ত করে ২০১১ সালের ৩ জুলাই তারেক রহমানসহ আরও ৩০ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। মোট ৫২ আসামির মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৯ জন পলাতক আছেন। আসামিদের তালিকায় আরও আছেন জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নান।