'ভোট জালিয়াতির রেকর্ডপত্র আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে দেব'

ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির রেকর্ডপত্র প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে দেবে আদর্শ ঢাকা আন্দোলন। গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ এ কথা বলেন।
এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘এই নির্বাচনের রেকর্ডপত্র আমাদের কাছে আছে। প্রয়োজন হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এসব রেকর্ডপত্র পৌঁছে দিতে আমরা প্রস্তুত আছি, পৌঁছে দেব। এ জন্য রেকর্ডপত্রগুলো গুছিয়ে রেখেছি।’
ঢাকায় বিএনপি-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীরা এমাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের ব্যানারে অংশ নেন। ভোট জালিয়াতির ঘটনার উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে যদি এই হয়, তাহলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কী হবে? যা হয়েছে, তার চেয়ে ব্যতিক্রম কিছু হবে? তখন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের চেয়েও খারাপ হতে পারে।
অল কমিউনিটি ফোরাম নামের একটি সংগঠন ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচন: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন আশরাফ উদ্দিন। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আযম খান, দলের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
এমাজউদ্দীন আহমদ অভিযোগ করেন, এ নির্বাচন বিদেশে শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ উত্থাপনের ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশন করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশপ্রেমিক সৈনিকেরা বাইরে যান শান্তিরক্ষার জন্য। তাঁদেরও হয়তো কোনো সময় প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। বলা হতে পারে, আগে নিজের দেশের শান্তিরক্ষা করবেন, না বিদেশের শান্তিরক্ষা করবেন? তাঁদের (সেনাবাহিনী) ডাকা হয়নি। ডাকলে তাঁরা আসতেন। নির্বাচনে যা ঘটেছে, তাঁরা থাকলে তা না-ও ঘটতে পারত।’
‘সিটি নির্বাচনে নিয়মকানুন বলে কিছু ছিল না’—এই মন্তব্য করে এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘এমন নির্বাচন জীবনে দেখিনি। এ জন্য বিশেষভাবে দায়ী নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, কেন তাঁরা (নির্বাচন কমিশন) যোগ্যতা প্রদর্শন করলেন না, এর উত্তর দেওয়ার সুযোগ হয়তো তাঁদের হবে না। কিন্তু তাঁদের বিবেকের কাছে এর উত্তর দিতে হবে।