বড়কর্তাদের দুর্নীতি

একটি বাড়ি একটি খামার: অনুসন্ধান— ২
একটি বাড়ি একটি খামার: অনুসন্ধান— ২
৫ টাকার কলম ৫০ টাকা ২৫০ টাকার ব্যাগ ৯৫০ টাকা। অস্তিত্বহীন দোকানের নামে ভুয়া রসিদ

৫ টাকার কলম ৫০ টাকায় আর ২৫০ টাকার ব্যাগ ৯৫০ থেকে ৯৮০ টাকায় কেনা হয়েছে। প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা খাতে এভাবে বিপুল অর্থ লুটপাট হয়েছে ভুয়া রসিদ জমা দিয়ে। এটি হচ্ছে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের দুর্নীতির খণ্ডচিত্র।
এ ছাড়া সম্মানী নেওয়ার নামে প্রকল্প পরিচালকসহ তাঁর ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের বেতনের কয়েক গুণ বেশি টাকা নেওয়া, প্রশিক্ষণার্থীদের সরকার–নির্ধারিত টাকার বেশি ফি দেওয়া, আপ্যায়নের নামে ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে প্রকৃত খরচের কয়েক গুণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, মুদ্রণ ও প্রকাশনার নামে ভুয়া বিল জমা দেওয়াসহ প্রতিটি খাতেই বিপুল পরিমাণ টাকা বের করে নিয়েছেন প্রকল্পের পরিচালক প্রশান্ত কুমার রায়সহ তাঁর ঘনিষ্ঠ কিছু কর্মকর্তা। কেনাকাটার জন্য তাঁর আস্থাভাজনেরা বিক্রেতা বা সরবরাহকারীদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।
বিভিন্ন উপায়ে সংগৃহীত বেশ কিছু রসিদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তবে দুর্নীতি ও অপচয় হওয়া এই টাকার সুনির্দিষ্ট অঙ্ক বের করা যায়নি। প্রায় সব কেনাকাটার ক্ষেত্রে কৌশলী দুর্নীতির বিষয়গুলো সরকারের নিরীক্ষায় যেমন ধরা পড়েছে, তেমনি এর প্রমাণ মিলেছে প্রথম আলোর অনুসন্ধানেও।
জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা খাতে বরাদ্দের পরিমাণ জানাতে পারেননি। তবে তিনি বলেছেন, প্রকল্পের ২ শতাংশ টাকা বেতন-ভাতা, কেনাকাটা ও প্রশিক্ষণ খাতে খরচ হয়। এই হিসাবে প্রকল্পের ২ হাজার ৭৭ কোটি টাকার ২ শতাংশ হিসাবে এসব খাতে বরাদ্দ আছে ৪০ কোটি টাকার বেশি।
২০১৩ সালের ২৫ আগস্ট জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভার কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, প্রশিক্ষণ ও সেমিনার খাতেই বরাদ্দ আছে ৮২ কোটি টাকা। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই টাকার বেশির ভাগই ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়েছে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৬০ হাজার সদস্য প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় এনে প্রকল্পের পাঁচ হাজার কর্মী ও কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ২০০৯ থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের প্রায় সব কেনাকাটায় দুর্নীতি হয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে মুদ্রণ ও প্রকাশনা, স্টেশনারি, সম্মানী ভাতা, যানবাহন, কম্পিউটার কেনা, ফটোকপি মেশিন কেনা, আসবাব কেনাসহ বিভিন্ন খাত। নিরীক্ষা আপত্তিতেও এসব অনিয়মের কথা উল্লেখ আছে।
জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক বলেন, অনেকগুলো নিরীক্ষা আপত্তি ইতিমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে। কেনাকাটায় ভবিষ্যতে যাতে অভিযোগ না ওঠে, সেই চেষ্টা থাকবে।


বেশি দামে ব্যাগ ক্রয়: নিরীক্ষায় বলা হয়েছে, শুধু ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৮ হাজার ৯৯৪টি ব্যাগ কেনা হয়। এর মধ্যে ৪ হাজার ৩৭৫টি ব্যাগ স্পট কোটেশনের মাধ্যমে এবং ৪ হাজার ৪১৯টি ব্যাগ সরাসরি কেনা হয়েছে। এই ৮ হাজার ৭৯৪টি ব্যাগ দরপত্রের মাধ্যমে কেনা হলে বছরে ১১ লাখ ৩১ হাজার টাকা সাশ্রয় হতো।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নিরীক্ষায় ৮০০ টাকা দাম ধরে আর্থিক ক্ষতি দেখানো হলেও একেকটি ব্যাগের খুচরা মূল্য ২৫০ টাকা, পাইকারি মূল্য ২২০ টাকা। প্রকল্পের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া বেশির ভাগ বিলই সংশ্লিষ্ট দোকানের নয়। তা ছাড়া এমন সব দোকানের নামে বিল জমা হয়েছে, যেগুলোর অস্তিত্ব নেই।
প্রকল্প পরিচালকের আস্থাভাজন হিসাব কর্মকর্তা পঙ্কজ কান্তি তালুকদারের হাতের লেখা রয়েছে বেশির ভাগ রসিদে। তবে পঙ্কজ প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, এসব লেখা তাঁর নয়। ক্রয়-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাঁকে রসিদ এনে দিয়েছেন।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিটি সরাসরি ক্রয় ২৫ হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। দরপত্র ছাড়া এটাই সর্বোচ্চ ক্রয়সীমা। এসব ব্যাগ কেনার ক্ষেত্রে বাজারদর যাচাইয়ের প্রমাণ না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন নিরীক্ষকেরা।
সরেজমিনে দুর্নীতি খোঁজা: গত বছরের ২২, ২৩, ২৫, ২৬, ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ব্যাগ কেনা হয় ছয়টি দোকান থেকে। ক্রয়মূল্য দেখানো হয়েছে ৯৫০ টাকা করে মোট ২৩ হাজার ৭৫০ টাকা। প্রতিটি ক্রয় ছিল ২৫ হাজার টাকার মধ্যে। সব রসিদে হাতের লেখা ও বিক্রেতার সই একই রকম।
বিলের দুটি কপিতে রাজধানীর নিউমার্কেটের দুটি দোকানের ঠিকানা দেওয়া আছে। গত ২৫ এপ্রিল সরেজমিনে নিউমার্কেটে গিয়ে জানা যায়, সেখানে শফিক ব্যাগ হাউস ও জাকির ব্যাগ ঘর নামে দোকানের অস্তিত্বই নেই। নিউমার্কেটের জি আহ্মেদ দোকানের স্বত্বাধিকারী মো. আবেদ মিয়াও বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রসিদ দেখালে তিনি বলেন, বোঝাই যাচ্ছে এগুলো ভুয়া।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ব্যাগ কেনার ক্ষেত্রে সরবরাহকারীর কাছ থেকে খালি রসিদ আনা হয়। এরপর ইচ্ছামতো দাম বসানো হয়। এ ছাড়া ভুয়া নাম-ঠিকানা দিয়েও রসিদ তৈরির প্রমাণ পাওয়া গেছে ঢাকার নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, চকবাজার ও মতিঝিল এলাকা ঘুরে।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, বিশাল কাজকর্মে এমন কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়ে গেছে। তিনি স্বীকার করেন, এই টাকায় আরও ভালো মানের পণ্য দেওয়া যেত।
যোগাযোগ করা হলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, দুর্নীতি ছোট বা বড় বলে কোনো কথা নেই। দুর্নীতি এক টাকা বা এক কোটি টাকা হোক—অপরাধ ও শাস্তি একই।
চেকের বদলে নগদ টাকা: অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সরবরাহকারীর কাছ থেকে কমিশন নিয়েছেন প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কয়েকজন। কোটেশনের মাধ্যমে ব্যাগ কিনে নয়টি প্রতিষ্ঠানকে ৪১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ‘লেটার অব অথরিটি’র মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়। অর্থাৎ প্রকল্প পরিচালক ব্যাগ সরবরাহকারীদের চেক না দিয়ে প্রথমে টাকা নগদায়ন করেছেন, এরপর তা সরবরাহকারীকে দিয়েছেন।
এই প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির ইঙ্গিত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, এভাবে বিল পরিশোধ করার অবকাশ নেই। জবাবে প্রকল্প পরিচালক বলেন, তিনি সরবরাহকারীর কাছ থেকে বিল পরিশোধের সম্মতিপত্র নিয়ে টাকা তুলে তা পরিশোধ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক মহাহিসাব নিরীক্ষক এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, এই প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির প্রমাণ না থাকলেও দুর্নীতির উদ্দেশ্য ছাড়া এটা করার কোনো যুক্তি নেই।
কলম কেনার নামে যা হয়েছে: সাধারণত প্রশিক্ষণে একটি বলপেন দেওয়া হয়, যার সর্বোচ্চ দাম পাঁচ টাকা। কিন্তু গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি নীলক্ষেতের বাবুপুরা মার্কেটের দিদার জেনারেল স্টোর থেকে ৩০০টি কলম কিনে ৫০ টাকা দরে দাম দেখানো হয় ১৫ হাজার টাকা। একাধিক প্রশিক্ষণার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁদের পাঁচ টাকা দামের কলম দেওয়া হয়েছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি একই দোকান থেকে ২৩৫টি কলম কেনা হয় ৫০ টাকা দরে।
২৫ এপ্রিল দিদার স্টোরে গিয়ে ৫০ টাকা দামের কলমের নমুনা চাওয়া হয়। দোকানের কর্মী মো. স্বপন জানান, তাঁদের দোকানে কলমের সর্বোচ্চ মূল্য ৩০ টাকা। দুটি রসিদ বের করে দেখালে দোকানের তিন কর্মীই বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, রসিদটি তাঁদের দোকানের। কিন্তু লেখা তাঁদের নয়। এমন কলম তাঁরা বিক্রি করেননি।
দিদার স্টোরের রসিদের সঙ্গে চকবাজারের তামান্না সুপারসের রসিদের হাতের লেখা ও বিক্রেতার সই হুবহু একই দেখা যায়। অথচ দিদার স্টোর থেকে কলম এবং তামান্না সুপারস থেকে ব্যাগ কেনা হয়েছে।
আপ্যায়ন ও ছাপা বিল নিয়ে যত কাণ্ড: প্রশিক্ষণার্থীদের আপ্যায়ন নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। কারওয়ান বাজার এলাকায় অবস্থিত রেস্টুরেন্ট সরাই ও নবান্ন রেস্টুরেন্ট থেকে ভুয়া রসিদ নিয়ে তা জমা দেওয়া হয়েছে। দুপুরের প্রতিটি খাবারের বিল দেখানো হয়েছে ৩০০ টাকা। অথচ প্রশিক্ষণার্থীদের খাবার দেওয়া হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকার।
ইমপ্রেশন ও করিম প্রিন্টার্স থেকে প্রকল্পের বিভিন্ন নীতিমালা ও নির্দেশিকা ছাপা হয়। গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ দুটি প্রেস থেকে বিল নেওয়া হলেও সংখ্যা ও দাম ছিল একই। করিম প্রিন্টার্সের রসিদটি সম্পূর্ণ ভুয়া, এমনকি এতে কারও সই নেই, ঠিকানা বা টেলিফোন নম্বর সেখানে নেই। যেগুলো ছাপা হয়েছে, তার মূল্য দেখানো হয়েছে বাজারমূল্যের প্রায় তিন গুণ।
প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে একটি করে প্রকল্প বাস্তবায়ন নির্দেশিকা, ঋণ নীতিমালা, আইটি ম্যানুয়াল, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল ও প্যাড দেওয়ার জন্য পাঁচটি খাতে ৬০ টাকা হিসেবে ৩০০ টাকা নেওয়া হয়। প্রথম দিকে এগুলো দেওয়া হলেও সাম্প্রতিক সময়ে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা দামের ৮৮ পৃষ্ঠার প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল ও সর্বোচ্চ ১৫ টাকা দামের একটি প্যাড দেওয়া হচ্ছে। এই ৪০ টাকা খরচ করা হলেও মাথাপিছু ৩০০ টাকা ঠিকই নেওয়া হচ্ছে। আর এই টাকা পকেটে নেওয়ার জন্য সব ধরনের জালিয়াতির তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে।
জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক বলেন, প্রতিটি প্রশিক্ষণে একটি বাজেট থাকে। আগে বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয় বলে একটা ধারণা থাকে যে, এই টাকা খরচ করতে হবে। সংগৃহীত ভুয়া রসিদগুলো দেখিয়ে ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তিনি উল্টো প্রশ্ন করেন, এগুলো কোথায় পেলেন?
বেতনের চেয়ে কোর্স সম্মানী বেশি: উপজেলা থেকে কর্মকর্তাদের প্রকল্পের কার্যক্রম ও অনলাইন ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে ঢাকায় আনা হয়। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে গিয়ে অনলাইন ব্যাংকিং ও দারিদ্র্য বিমোচন বিষয়ে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
কোর্স উপদেষ্টা হিসেবে প্রকল্প পরিচালক পাঁচ হাজার এবং সকালে ও বিকেলে প্রশিক্ষক হিসেবে চার হাজার করে আট হাজার টাকা নেন। এভাবে প্রায় প্রতি কর্মদিবসে তিনি ১৩ হাজার টাকা নেন। এ ছাড়া কোর্স পরিচালক হিসেবে প্রকল্পের উপপরিচালক নজির আহমদ আড়াই হাজার টাকা এবং প্রশিক্ষক হিসেবে একটি ক্লাসের জন্য চার হাজার টাকা নেন। প্রকল্প পরিচালকের পছন্দের কর্মকর্তারাও এসব কোর্স থেকে এক থেকে দুই হাজার টাকা পান।
মাস শেষে এটা তাঁদের বেতন-ভাতার কয়েক গুণ। প্রকল্প পরিচালক এই টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তিনি অফিস সময়ের বাইরেও অনেক পরিশ্রম করেন। অফিস চলাকালে প্রশিক্ষণবাবদ একেক দিন ১৩ হাজার টাকা নেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা নিয়ে আপত্তি উঠলে তিনি আর নেবেন না।
প্রকল্প পরিচালক যুগ্ম সচিব হিসেবে সরকারের ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনেছেন। এ ছাড়া প্রকল্পের দুটি দামি গাড়ির একটি তিনি নিজে, আরেকটি পরিবারের সদস্যরা ব্যবহার করেন।
প্রশিক্ষণার্থীদেরও বেশি বেশি সম্মানী: প্রকল্পের প্রশিক্ষণার্থীদেরও নির্ধারিত সম্মানীর বেশি দেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী জনপ্রতি প্রশিক্ষণার্থী ভাতা ৭৫০ টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু প্রকল্প থেকে বিভিন্ন সময় এর চেয়ে বেশি ভাতা দেওয়া হয়।
সরকারের নিরীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি ভাতা দেওয়ায় ক্ষতি হয়েছে নয় লাখ টাকা। জবাবে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হিসাব বিভাগে দক্ষ জনবল না থাকায় এই ত্রুটি হয়েছে, যা অনিচ্ছাকৃত বলে দাবি করা হয়েছে।
পিপলস পাওয়ার রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী পরিচালক হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সরকারের কর্মসূচিতে প্রশিক্ষণ মানেই কিছু লোকের টাকা উপার্জন। একটি বাড়ি একটি খামারও এর ব্যতিক্রম নয়। তাঁর মতে, দারিদ্র্য বিমোচনে প্রশিক্ষণের ভূমিকা হচ্ছে কারও কারও পকেট ভারী করা।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব এম এ কাদের সরকার প্রথম আলোর কাছে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি অভিযোগগুলো সম্পর্কে নোট নেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।