শান্তিরক্ষীদের পেশাদারি ধরে রাখতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

সেনা, নৌ, বিমান ও পুলিশ বাহিনীর যেসব সদস্য বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ন্যস্ত আছেন তাঁদের প্রতি পেশাদারত্ব বজায় রেখে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শান্তি মিশনগুলোতে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা যাতে আরও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারেন সে জন্য পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে হালনাগাদ করার কাজ অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী আজ রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস ২০১৫ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় এ কথা বলেন। খবর বাসসের।
আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস ২০১৫ উপলক্ষে ঢাকার জাতিসংঘ অফিসের সহায়তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ বাংলাদেশের সব শান্তিরক্ষী যাতে আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিতে পারে, সে জন্য সরকারের সকল প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী পরে মালি ও কঙ্গোতে শান্তিরক্ষীদের কার্যক্রম নিয়ে সেনাবাহিনীর যে শান্তিরক্ষী সদস্যরা ভিডিও কনফারেন্স কাজে উন্নয়ন ঘটান তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এর আগে বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষায় দায়িত্ব পালনকালে এবং সন্ত্রাসীদের আক্রমণে নিহত শান্তিরক্ষীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের কার্যক্রমের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ১২২টি দেশের ১ লাখ ৭ হাজার ৮০৫ জন শান্তিরক্ষী নিয়োজিত রয়েছেন। তার মধ্যে বাংলাদেশেরই ৯ হাজার ৫৯২ জন শান্তিরক্ষী বিভিন্ন মিশনে সক্রিয়, যার মধ্যে ২০৫ জন মহিলা শান্তিরক্ষী। আমাদের শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা বর্তমানে বিশ্বে নিয়োজিত সর্বমোট সংখ্যার ৯ শতাংশ, যা সত্যিই গর্ব করার মতো।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই মুহূর্তে ১০টি মিশনে আমাদের শান্তিরক্ষীরা নিয়োজিত আছে। অতি সম্প্রতি জাতিসংঘ সদর দপ্তর এবং শান্তিরক্ষা মিশনগুলোয় উচ্চপর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে আমাদের সেনা অফিসারদের নিযুক্তি প্রদানের জন্য প্রস্তাব পেয়েছি। এগুলো আমাদের সফল এবং বলিষ্ঠ কূটনীতিরই ফসল। এ সব পদ আরও অধিক মাত্রায় প্রাপ্তির লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া, ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ওয়াটকিনস।
এ ছাড়া চিফ অব নেভাল স্টাফ ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব, চিফ অব এয়ার স্টাফ এয়ার মার্শাল মুহাম্মদ ইনামুল বারী, সেনাবাহিনীর আর্মড ফোর্স বিভাগের প্রিন্সিপাল অফিসার লে. জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ সাইফুল হক, পররাষ্ট্রসচিব শহিদুল হক এবং ভারপ্রাপ্ত আইজিপি জাভেদ পাটোয়ারী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিবর্গ, উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্য, বিদেশি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সেনাবহিনীর সাবেক শান্তিরক্ষী, নৌবাহিনী ও সেনাবহিনীর কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।