ইসির শুনানিতে হাজিরা দিলেন সাংবাদিকেরা

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হামলা ও বাধার শিকার হওয়া সাংবাদিকেরা নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশ নিয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

গত ২৮ এপ্রিল তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন কেন্দ্রে বাধা ও হামলার সম্মুখীন হন সাংবাদিকেরা। পর দিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ২৮ এপ্রিল গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে আজ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের শুনানিতে ডাকেন নির্বাচন কমিশনের তদন্ত কমিটি।
আজ নয়জন সাংবাদিক শুনানিতে অংশগ্রহণ নেন। তাঁরা হলেন, দৈনিক সমকালের অমিতোষ পাল, জিলফুল মুরাদ শানু, মানবকন্ঠের এম মামুন হোসেন, দৈনিক যুগান্তরের ওবায়েদ অংশুমান, দৈনিক প্রথম আলোর মোশতাক আহমেদ, সুজয় মহাজন, শুভঙ্কর কর্মকার, সামছুর রহমান ও মাহবুবুল হক ভূঁইয়া।
তদন্ত কমিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কমিটির আহ্বায়ক ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আনিছুর রহমান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার রেজাউল করিম (ক্রাইমস অ্যান্ড অপারেশন) ও নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব আবদুল অদুদ।
আজ শুনানিতে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের কাছ থেকে লিখিতভাবে ওই দিনের ঘটনার বিবরণ নেয় তদন্ত কমিশন। পাশাপাশি ওই দিনের ঘটনার মৌখিক বিবরণও দেন তিনজন সাংবাদিক। শুনানিতে দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক ওবায়েদ অংশুমান কমিটির কাছে জানতে চান, কমিটি এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসলে কী করতে চায়? সমকালের সাংবাদিক অমিতোষ পাল বলেন, অতীতেও এ রকম অনেক ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত কমিটিও হয়েছে, কিন্তু প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তাই সাংবাদিকেরা আশ্বস্ত হতে পারে না যে, এমন পদক্ষেপের ফলে আসলেই কোনো ফল পাওয়া যাবে কি না।
এর জবাবে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক আনিছুর রহমান বলেন, তাঁদের কোনো ‘অ্যাকশন’ নেওয়ার ক্ষমতা নেই। তাঁরা সব পক্ষের বক্তব্য শুনে প্রতিবেদন জমা দেবেন। পরে কী হবে সেটি তাঁদের জানা নেই।