কুড়িগ্রামে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই গ্রামের সাবিনা (২০) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর স্বামী একে আত্মহত্যা বললেও বাবার ধারণা মেয়েটির মা-ই সন্তানকে খুন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানান, এক বছর আগে সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী আমজাদ আলীর সঙ্গে সাবিনার বিয়ে হয়। আমজাদের আরও দুটি স্ত্রী থাকায় সাবিনাদের বাড়িতেই ঘর তুলে থাকতেন তাঁরা।
সাবিনার বাবা আবদুস সামাদ জানান, গতকাল সকালে মেয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছে না দেখে তিনি বেড়ার ফাঁক দিয়ে দেখেন মেয়ের দেহ মাটিতে পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলে ঘরে ঢুকে বুঝতে পারেন মেয়ে মারা গেছে। ঘরের বাঁশের আড়ার সঙ্গে তিনি ওড়না পেঁচানো দেখতে পান। তা ছাড়া মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। ঘরেও রক্তের দাগ। তিনি আরও জানান, তাঁর স্ত্রী জরিনা বেগম মেয়ের এভাবে বাবার বাড়িতে থাকা পছন্দ করতেন না। কয়েক দিন আগেই এটি নিয়ে মা ও মেয়ের ঝগড়া হলে জরিনা তাঁর নিজের বাবার বাড়িতে চলে যান। জরিনাই মেয়েকে হত্যা করেছেন বলে আবদুস সামাদ সন্দেহ প্রকাশ করেন। জরিনার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
এদিকে সাবিনার স্বামী আমজাদ জানান, তিনি রাতে এ বাড়িতে ছিলেন না। সকালে খবর পেয়ে এসেছেন। তবে তাঁর ধারণা, মায়ের সঙ্গে অভিমান করে তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
প্রতিবেশী মুকুল মিয়া ও রজিদুল জানান, রক্ত ও লাশের শরীরে ক্ষত দেখে বোঝা যাচ্ছে, কেউ সাবিনাকে হত্যা করেছে।
রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাসান জানান, সাবিনার মৃত্যুর ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর কুড়িগ্রাম জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।