ভোলায় প্রজনন মৌসুম শুরুর আগেই ইলিশ ধরা বন্ধ

ভোলার চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার লক্ষাধিক জেলে ইলিশ প্রজননের সময়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞার দুই দিন আগে গতকাল শুক্রবার থেকেই মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছেন। আড়তদারেরা মাছ না কেনায় জেলেরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নের আনন্দবাজার খালের আড়তদার মাহবুবুর রহমান জানান, এ দুই দিনে চরফ্যাশন ও মনপুরা এলাকা থেকে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকার ইলিশ ধরা হতো।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রীতিশ কুমার মল্লিক বলেন, ‘১২ অক্টোবর রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ১১ দিন ইলিশ শিকার, বহন ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে জেলেরা দুই দিন আগে থেকেই মাছ ধরা বন্ধ করেছেন, এ জন্য তাঁদের ধন্যবাদ।’
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সরকার ভোলার মেঘনা নদীর ৯০ কিলোমিটার ও তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার জলসীমার মধ্যে ইলিশ প্রজনন সময় (১৩ থেকে ২৩ অক্টোবর) ১১ দিন সব ধরনের জাল ফেলা নিষিদ্ধ করেছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার জেলেরা নিষেধাজ্ঞার দুই দিন আগে মাছ ধরা বন্ধ করেছেন। এ ব্যাপারে ঢালচর চেয়ারম্যান মাছ ঘাটের আড়তদার জাকির হোসেন পাটওয়ারী বলেন, চরফ্যাশন ও মনপুরার আড়তদারেরা সাধারণত চাঁদপুর ও বরিশালের মোকামে মাছ বিক্রি করেন। তাঁরা গতকাল মাছ কিনলে সে মাছ প্যাকেজিং করে মোকামে পাঠাতে শনিবার রাত হয়ে যাবে। কিন্তু মোকামের আড়তদারেরা জানিয়েছেন তাঁরা শনিবার দুপুর পর্যন্ত মাছ কিনবেন। আর গতকাল মাছ কিনে ওই সময়ের মধ্যে মাছ পৌঁছানো সম্ভব না। এ ছাড়া পথে আইন প্রয়োগকারীদের হাতে ধরা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য তাঁরা জেলেদের মাছ কিনবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।