ফোরকান মল্লিকের রায় যেকোনো দিন

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের ফোরকান মল্লিকের বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় যেকোনো দিন ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আজ রোববার এ মামলার কার্যক্রম শেষ হয়।

পরে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোকলেছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ এই মামলায় সবগুলো অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছে। এ জন্য আমরা তাঁর সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছি।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সালাম খান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তাই তাঁরা ফোরকান মল্লিকের খালাস চেয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফোরকান মল্লিকের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ গঠন করে ২০১৪ সালে বিচার শুরু করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের আদেশে ট্রাইব্যুনাল বলেছিলেন, ফোরকান মল্লিকের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এগুলোতে তাঁর বিরুদ্ধে আটজনকে হত্যা, চারজনকে ধর্ষণ, তিনজনকে ধর্মান্তরিত করা, ১৩ পরিবারকে দেশান্তরে বাধ্য করা, ৬৪টি বাড়িঘর ও দোকানপাট লুট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়।

অভিযোগ গঠনের আদেশ পড়ে শোনানোর পর আসামির কাঠগড়ায় হাজির ফোরকানের কাছে ট্রাইব্যুনাল জানতে চান, তিনি দোষী না নির্দোষ? ফোরকান নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। পরে ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।

গত ৯ ডিসেম্বর ফোরকান মল্লিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোকলেছুর রহমান। অভিযোগ গঠনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন ফোরকানের আইনজীবী আবদুস সালাম খান।

রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, ফোরকানের বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ছইলাবুনিয়া গ্রামে। গত ২৫ জুন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একটি দল বরিশালের রুপাতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ফোরকানকে গ্রেপ্তার করে। ৩ জুলাই তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

আরও পড়ুন: