ফোরকানের মামলার রায় যেকোনো দিন

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের ফোরকান মল্লিকের বিরুদ্ধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় যেকোনো দিন ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২-এ গতকাল রোববার এই মামলায় চূড়ান্ত যুক্তি উপস্থাপন শেষ করে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ। পরে রায় ঘোষণা অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন ট্রাইব্যুনাল।
গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ফোরকান মল্লিকের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচার শুরু হয়েছিল। এসব অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে আটজনকে হত্যা, চারজনকে ধর্ষণ, তিনজনকে ধর্মান্তরিত করা, ১৩টি পরিবারকে দেশান্তরে বাধ্য করা, ৬৪টি বাড়িঘর ও দোকানপাট লুট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১৪ জন সাক্ষ্য দেন। আসামিপক্ষে সাক্ষ্য দেন পাঁচজন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোকলেছুর রহমান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফোরকান মল্লিকের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে হত্যা-ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আমরা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি। এ জন্য আমরা তাঁর সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড চেয়েছি।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সালাম খান অবশ্য দাবি করেন, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্য তিনি অভিযোগ থেকে ফোরকানকে খালাস দেওয়ার আরজি জানান।
রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, ফোরকানের বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ছইলাবুনিয়া গ্রামে। গত বছরের ২৫ জুন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একটি দল বরিশালের রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ৩ জুলাই তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক আছেন।