কসবায় দুই রাতে আট বাড়িতে ডাকাতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় গত দুই রাতে আট বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। এতে এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত একটার দিকে ২০-২৫ জনের ডাকাত দল উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বালিয়াহুড়া গ্রামের মোখলেছ মিয়ার বাড়ির ফটকের তালা ও দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। এ সময় তারা পরিবারের সদস্যদের বেঁধে নগদ এক লাখ টাকা, আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার, দুটি মুঠোফোন সেট, কয়েকটি বিছানার চাদর লুট করে। পরে ডাকাত দল একই গ্রামের সেলিম মিয়ার বাড়ি থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা, সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার, চারটি মুঠোফোন, পাঁচটি চাদর এবং ছায়েদ মিয়ার বাড়ি থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে।
রাত দুইটার দিকে একদল ডাকাত পাশের ছোট বায়েক গ্রামের সফিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে একটি পালসার মোটরসাইকেল, ১৮ হাজার টাকা, দেড় ভরি স্বর্ণালংকার ও আবুল খায়েরের বাড়ি থেকে ৪২ হাজার টাকা, সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার, চারটি মুঠোফোন এবং মালখা মিয়ার বাড়ি থেকে এক ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ২০ হাজার লুট করে।
এ ছাড়া গত সোমবার রাতে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের হোমিও চিকিৎসক ইউনুছ মিয়ার বাড়িতে একদল ডাকাত ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ৬৮ হাজার টাকা, তিন ভরি স্বর্ণালংকার, ছয়টি মুঠোফোন সেট এবং পাশের ইয়াকুব আলীর বাড়ি থেকে ৬০ হাজার টাকা, সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার ও চারটি মুঠোফোন সেট লুট করে।
বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন জানান, এক রাতে ছয়টি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোর্সেদ জানান, ডাকাতির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের থানায় মামলা করতে বলা হয়েছে। ডাকাতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।