গরুর হাট বসিয়ে ইউএনওর ব্যবসা!

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের মাঠে (হ্যালিপেডে) বেআইনিভাবে কোরবানির পশুর হাট বসিয়ে টোল (খাজনা) আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রভাব খাটিয়ে এই হাট বসিয়েছেন বলে পৌর কর্তৃপক্ষ গত রোববার অভিযোগ করেছে। এর পরই ইউএনও হাট তুলে দেন বলে জানা গেছে।
কিশোরগঞ্জ পৌর মেয়র মাজহারুল ইসলাম রোববার পৌরসভার সভাকক্ষে ইউএনওর এই হাট নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।
সভায় জেলা পরিষদের প্রশাসক জিল্লুর রহমানসহ শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
পৌর মেয়র জানান, উপজেলা পরিষদের কোনো অনুমোদন না নিয়ে ইউএনও সুব্রত পাল একক সিদ্ধান্তে উপজেলা পরিষদের মাঠে দুদিন ধরে (শুক্র ও শনিবার) গরুর হাট বসিয়ে খাজনা তুলছেন। এতে করে কিশোরগঞ্জের শতাব্দীপ্রাচীন (ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানসংলগ্ন) ইচ্ছাগঞ্জ গরুর হাটটি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অথচ এ হাটের আয় থেকে পৌরসভার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বাৎসরিক বেতন-ভাতা দেওয়া হয়।
জেলা পরিষদের প্রশাসক বলেন, উপজেলা পরিষদ বাজার বসাতে পারে। তবে সেজন্য উপজেলা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হতে হবে। কিন্তু ইউএনও সে রকম কিছু করেননি। পরে উপজেলা পরিষদের মাঠের হাট নিয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হাই জানান, ওই হাট বসানোর সব দায়দায়িত্ব ইউএনওর। এ ব্যাপারে তিনি আর কোনো কথা বলতে চাননি।
ইউএনও সুব্রত পাল জানান, গত রোববারই হাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা গরু নিয়ে এসেছিলেন তাঁদের মাঠে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
অবাঞ্ছিত ঘোষণা: কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুব্রত পাল ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুজ্জামানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে জেলা কালেক্টরেট কর্মচারী সমিতি।
গত রোববার সমিতির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে সভায় ওই দুই কর্মকর্তাকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়।