জামায়াত-শিবিরের ২০ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

ফেনীর ছাগলনাইয়ার মুহুরীগঞ্জ এলাকায় গত বৃহস্পতিবার নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন সভা করার সময় জামায়াত-শিবিরের ২০ জন কর্মীকে আটক করে গতকাল শুক্রবার ফেনীর বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কাজ করার জন্য গোপন ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় একটি মামলা করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুহুরীগঞ্জ বাজার এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে বৃহস্পতিবার দুপুরে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা গোপনে সভা করছেন, এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ওই কমিউনিটি সেন্টার ঘেরাও করে। পুলিশ সেখান থেকে জামায়াত-শিবিরের ২০ জন কর্মীকে আটক করে। তাঁরা হলেন মো. ফারুক (৩৬), মিজানুর রহমান (৩৩), মোহাম্মদ ইয়াহিয়া (৫৮), আবুল কাশেম (৪৩), নুরুল হুদা (৪৫), এমরান হোসেন (৩৬), মো. মুছা (৩০), নাজিম উদ দোলা (৩৫), মাহমুদুল হক (৫০), মোস্তফা কামাল (৩৫), সফিকুর রহমান (৪০), আমিন শরিফ (৪২), আনোয়ার হোসেন (৪৮), আবদুল করিম (২৬), দেলোয়ার হোসেন (৫৩), আবদুর রৌপ (৬০), সাখাওয়াত হোসেন (২২), সাইফুল ইসলাম (৫০), মমিনুল হক (৫০) ও মো. এছাক (৫৫)। এ সময় সেখান থেকে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী পালিয়ে যান।
আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ওই কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবস্থাপক নাজিম উদ দোলাও রয়েছেন। তিনি জানান, বন্ধন সমবায় সমিতি নামের তাঁদের একটি সঞ্চয়ী সমিতি রয়েছে। তাঁরা সমিতির সাধারণ সভা করার জন্য সেখানে মিলিত হন। আটকের পর তাঁদের সবাইকে ফেনীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ ঘটনায় ছাগলনাইয়া থানার অধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুহুরীগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহবুবুল হক বাদী হয়ে আটক ২০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ২৫ জনসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করেছেন।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, আটক হওয়া জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।