নন্দীগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান জেলে

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদ পোড়ানো মামলার প্রধান আসামি এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের আমির নুরুল ইসলাম মণ্ডলকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বুধবার একটি নাশকতার মামলায় বগুড়ার বিশেষ আদালত-১-এ হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ আ ম মো. আবু সাঈদ তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বগুড়ার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হেলালুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নুরুল ইসলাম মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় নাশকতার আটটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। এত দিন তিনি জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গতকাল নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু হায়দার মো. ফায়েজুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালের ৩ মার্চ জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চাঁদে দেখার গুজব ছড়িয়ে নন্দীগ্রাম থানা ও উপজেলা পরিষদে হামলা, গানপাউডার দিয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। হামলা করা হয় উপজেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল আশরাফের বাসভবনেও। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ইউএনও ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারি গাড়িও। এসব ঘটনায় নুরুল ইসলাম মণ্ডলের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় চারটি মামলা হয়। এ ছাড়া বগুড়া সদর থানায়ও তাঁর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা হয়। অধিকাংশ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।