ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে জাহাঙ্গীর মিয়া (২৫) নামের এক যুবককে গত সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সিডস্টোর বাজারে জাহাঙ্গীরের একটি স্টুডিও রয়েছে। তাঁর স্টুডিও থেকে একটি কম্পিউটারও জব্দ করেছে পুলিশ। জাহাঙ্গীরের বাড়ি নান্দাইলের উত্তর রহিমপুর গ্রামে।
এদিকে, ছয় বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় টাঙ্গাইলের সখীপুরের বহেড়াতৈল এলাকা থেকে গৌড় চন্দ্র মালুকে (১৬) গত সোমবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১৪ অক্টোবর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মন্দিরপাড়া এলাকায় বখাটে গৌড় চন্দ্র ওই শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর শিশুটির বাবা বাদী হয়ে গৌড়কে আসামি করে থানায় মামলা করেন। সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রাজ্জাক জানান, এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ওই দিন গৌড় চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার রাতে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা করার পর জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে থানা হাজতে থাকা জাহাঙ্গীর জানান, ওই ছাত্রীকে তিনি হলফনামার মাধ্যমে বিয়ে করেছেন। কিন্তু ছাত্রীটি বিয়ের কথা অস্বীকার করেছে।
ওই ছাত্রী জানায়, সে উপজেলার একটি মাদ্রাসায় একাদশ (আলিম) শ্রেণীর ছাত্রী। সে গত ২১ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরের স্টুডিওতে ছবি তুলতে যায়। জাহাঙ্গীর তাকে কোমল পানীয় খাওয়ান। ওই পানীয় পান করার পর তার প্রচণ্ড ঘুম পায় এবং সে স্টুডিওর ভেতর ঢলে পড়ে। ঘুম থেকে জেগে সে বুঝতে পারে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এক সপ্তাহ পর জাহাঙ্গীর তাকে স্ত্রী দাবি করে এলাকায় প্রচার শুরু করে। প্রমাণ হিসেবে একটি হলফনামা এলাকার লোকজনকে দেখানো হয়। মেয়েটি বলে, ওই হলফনামা সঠিক নয়।