কাউনিয়ার অধিকাংশ সড়ক বেহাল

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার অধিকাংশ সড়কই কার্পেটিং উঠে, খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মীরবাগ-হারাগাছ, বেইলি ব্রিজ খামার থেকে দেওয়ান বাজার ও উপজেলার বালিকা বিদ্যালয় মোড় থেকে ভায়ারহাট সড়কের।
এসব সড়ক ছাড়াও সরেজমিনে দেখা গেছে, মীরবাগ থেকে সাহেবগঞ্জ পর্যন্ত চার কিলোমিটার, মীরবাগ বাসস্ট্যান্ড থেকে সিঙ্গারকুড়া পাঁচ কিলোমিটার, ধুমেরকুটি থেকে হারাগাছ ডিগ্রি কলেজ মোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এবং বেইলি ব্রিজ থেকে শিবুবাড়ি পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং উঠে খানাখন্দে ভরে গেছে। তালতলা-গাজীরহাট সড়কের দুই কিলোমিটার, থানা রোড থেকে সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয় পর্যন্ত আধা কিলোমিটার, হারাগাছ পৌরসভার মেনাজ বাজার থেকে পাইকার বাজার, মেনাজের ব্রিজ হতে সুরুজের কারখানা মোড় পর্যন্ত, দালালহাট থেকে টাংরীর বাজার পর্যন্ত অনেক স্থানে সড়কের কার্পেটিং উঠে খানাখন্দে পানি জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
উপজেলার মীরবাগ থেকে হারাগাছ পৌরসভা এলাকা পর্যন্ত নয় কিলোমিটার পাকা সড়কের মধ্যে ছয় কিলোমিটার সড়কই খানাখন্দে ভরে গেছে। গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির এই অংশ গত প্রায় এক দশকেও সংস্কার না হওয়ায় যানবাহনে চলাচল ভীষণ কষ্টকর হয়ে উঠেছে। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাস বা ট্রাককে সাইড দিতে গেলেও প্রাণহানীর আশঙ্কা থাকে।
সড়কের এমন বেহাল অবস্থা নিয়ে কাউনিয়া বাজারের ব্যবসায়ী আকমল হোসেন বলেন, ‘হামার উপজেলার রাস্তাগুলা অনেক দিন থাকি খারাপ। রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যানগাড়িত কেউ মালামাল নিবার চায় না।’
বেইলি ব্রিজ খামার থেকে কুটিরঘাট দেওয়ান বাজার পর্যন্ত চার কিলোমিটার পাকা সড়কের প্রায় পুরোটারই কার্পেটিং উঠে গেছে। অনেক স্থানে ইটের খোয়া উঠে গিয়ে মাটি বের হয়ে আছে। এই সড়কে চলাচলের সময় দেওয়ান বাজার এলাকার ব্যবসায়ী আলী হোসেন বলেন, ‘রাস্তার এমন দশা আর কত দিন যে চলবে জানি না। শুধু শুনি, এই রাস্তা ভালো হবে। কিন্তু সেই রাস্তা আর ভালো হয় না।’
উপজেলার বালিকা বিদ্যালয় মোড় থেকে ভায়ারহাট পাকা সড়কের বেশির ভাগ অংশই এবড়োখেবড়ো। এ ছাড়া কাউনিয়া বালিকা বিদ্যালয় মোড় থেকে তকিপল বাজার পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কের অনেক গর্তে পানি জমে যানবাহন ও লোকজনের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহাফুজার রহমান বলেন, নতুন অর্থবছরে পর্যায়ক্রমে এসব সড়কের সংস্কারকাজ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাস্তাগুলো সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ ফরহাদ হোসেন বলেন, এরই মধ্যে সড়কগুলো সংস্কারে ৪০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। নতুন অর্থবছরে যে বরাদ্দ পাওয়া যাবে তা দিয়ে সড়কের সংস্কারকাজ অনেকটাই এগিয়ে নেওয়া যাবে বলে তিনি আশা করেন।