হাতিয়ার দুটি ট্রলারসহ ১৬ জেলেকে অপহরণ

নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপের জাহাজমারা এলাকার ১৬ জন জেলেসহ দুটি মাছধরা ট্রলার অপহরণ করে নিয়ে গেছে জলদস্যুরা। গতকাল রোববার বিকেলে এ অপহরণের ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাস্থল নিয়ে পুলিশ ও কোস্টগার্ডের কাছ থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
কোস্টগার্ডের ভাষ্য, নিঝুম দ্বীপের পূর্ব দিকে মেঘনা থেকে অপহরণের ঘটনাটি ঘটেছে। অপরদিকে হাতিয়া পুলিশের ভাষ্য, বঙ্গোপসাগরের গ্যাসফিল্ড এলাকায় ওই অপহরণের ঘটনা ঘটে, যা হাতিয়ার সীমানার বাইরে।
পুলিশ, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বিকেল চারটার দিকে নিঝুম দ্বীপের পূর্ব দিকে হাতিয়ার মেঘনা ও বঙ্গোপসাগর এলাকায় দুলাল মাঝি ও খোকন মাঝির দুটি ট্রলার জলদস্যুদের কবলে পড়ে। দস্যুরা ট্রলারে থাকা ১৬ জন জেলে, মাছ ধরার জাল ও অন্যান্য সামগ্রীসহ ট্রলার দুটি অপহরণ করে নিয়ে যায়।
কোস্টগার্ডের হাতিয়া স্টেশনের চিফ পেটি অফিসার আমজাদ হোসেন গতকাল রাত পৌনে ১০টায় প্রথম আলোকে বলেন, নিঝুম দ্বীপের পূর্ব দিকে মেঘনায় মাছ ধরার সময় জলদস্যুরা দুটি ট্রলারসহ ১৬ জন জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। পরে জনপ্রতি দুই লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা। তিনি জানান, আজ সোমবার সকালে অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে।
অপহৃত জেলেদের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন খোকন মাঝি, দুলাল মাঝি, এরশাদ, নাছির সারেং, হাসেম, বাহার সারেং, সিরাজ মাঝি, মনু মাঝি, আজগর মাঝি ও সাখাওয়াত মাঝি।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরুল হুদা দাবি করেন, অপহৃত জেলে এবং ট্রলার দুটি হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপের। কিন্তু অপহরণের ঘটনা হাতিয়ার সীমানায় হয়নি। বঙ্গোপসাগরের গ্যাসফিল্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। তবে মুক্তিপণ চাওয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন।