শেখ হাসিনা প্রশাসন নিয়ে রাজনীতি করেন না

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসন নিয়ে রাজনীতি করেন না। আমরা প্রশাসনকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার নীতিতে বিশ্বাস করি।’
আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সৈয়দ আশরাফ এ কথা বলেন। জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর যৌথসভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
দলের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে প্রশাসন রাজনীতি মুক্ত রাখার চেষ্টা কতটা সফল হবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আমি যখন শপথ গ্রহণ করি এবং সেই অনুযায়ী সরকারের কাজ করি, তখন আমি আওয়ামী লীগ করি না। আবার যখন দলের কাজ করি, তখন দলেরই কাজ করি। এখানে কোনো সংঘাত নেই।’
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান দক্ষ কর্মকর্তারা প্রশাসনে আসুক। তিনি বলেন, প্রশাসন গতিময় ছিল, ভবিষ্যতে তা আরও গতিশীল হবে।
দল ভাঙার চেষ্টা করছে সরকার—বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘এ বিষয়ে তাঁর কাছে কোনো খবর নেই। দল কারা ভাঙছে, তাদের আমরা চিনি না।’
সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি পেয়েছেন বলে জানিয়ে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আশা করছি, নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানাবে। সেখানে সংবিধান ও দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে আলোচনা হবে।’

বিফিংয়ে জানানো হয়, জাতির জনকের শাহাদাত কর্মসূচি চূড়ান্ত করে তা শিগগিরই গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আবদুস সোবহান গোলাপ, অসিম কুমার উকিল, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, মিয়া মোজাম্মেল হক প্রমুখ।