ফরিদগঞ্জে বিএনপির হরতাল, তিন যুবদল কর্মীর লাশ দাফন

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় গতকাল শনিবার বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। এর আগের দিন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে যুবদলের তিন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ওই ঘটনায় এ হরতাল আহ্বান করা হয়।
এদিকে ওই তিনজনের লাশ জানাজা শেষে গতকাল সন্ধ্যায় নিজ নিজ বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক সাংসদ হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির নেতারাসহ কয়েক হাজার মানুষ এসব জানাজায় অংশ নেন।
হরতালে উপজেলায় র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়। বিভিন্ন স্থানে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপির ৮৮ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিন হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করে তিনটি মামলা দায়ের করেছে। এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শুক্রবার বিকেলে ১৮ দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদগঞ্জে বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সংঘর্ষের সময় পুলিশ অর্ধশতাধিক গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে ১৮-দলীয় জোটের অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫) শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় নেওয়ার পথে; এর আগে আরিফ হোসেন (২৫) ফরিদগঞ্জ হাসপাতালে এবং একই দিন রাতে বাবুল ভূঁইয়া (৩০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এ ছাড়া শরীফ পাটোয়ারী (২২), সাইফুল ইসলাম (৪০) ও মো. তারেক (৩০) নামের অপর তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতদের পরিবারকে অনুদান: যুবদলের নিহত কর্মীদের পরিবারগুলোকে এক লাখ টাকা করে অনুদান দিয়েছে ফরিদগঞ্জের আম্বিয়া ইউনুস ফাউন্ডেশন।