অবশেষে রামপাল নদে খেয়াঘাট নির্মাণ

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার রামপাল নদের দুই পাশে যাত্রীসাধারণের চলাচলের জন্য ঘাট নির্মাণ করেছে ঘাটের টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান। জেলা পরিষদের নির্দেশে গত ১৫ জুলাই ওই ঘাট নির্মাণ করা হয়।
২৭ জুন প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘ঘাট নেই, তবু তিন গুণ টোল আদায়’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
রামপাল নদসংলগ্ন এলাকাবাসীরা বলেন, রামপাল নদে যাত্রী পারাপারের জন্য কোনো ঘাট ছিল না। ইজারা নেওয়া রামপাল খেয়াঘাট পাটনীজীবী সমিতি ঘাট নির্মাণ না করেই যাত্রী পারাপারে জেলা পরিষদের ধার্য করা টাকার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করছিল। জেলা পরিষদের বিষয়টি তদারকি করার কথা থাকলেও এ বিষয়ে তারা কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছিল না।
এ বিষয়ে প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর জেলা পরিষদ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায়। তারপর তাদের নির্দেশে তিন দিনের মধ্যে রামপাল পাটনীজীবী সমিতি রামপাল নদের দুই পাড়ে ঘাট নির্মাণ করে দেয়। ১৫ জুলাই ওই ঘাট নির্মাণ শেষ হয়।
রামপাল খেয়াঘাট পাটনীজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জনগণের ভোগান্তি যাতে না হয় ভবিষ্যতে আমরা সে বিষয়ে খেয়াল রাখব।’
মংলা উপজেলার চাঁদপাই গ্রামের আবদুল্লাহ, রামপালের পেড়িখালি গ্রামের কাদের, মিঠেখালি গ্রামের বোরহানসহ আরও কয়েকজন যাত্রী বলেন, ‘আমরা এখন ভোগান্তি ছাড়া নদী পারাপার হতে পারছি।’
বাগেরহাট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলিম উদ্দিন বলেন, জনগণের ভোগান্তির বিষয়টি জানার পর ঘাট ইজারা গ্রহণকারী সমিতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়। এরপর তারা ঘাট নির্মাণ করে দেয়। ভবিষ্যতে জনগণের ভোগান্তি যাতে না হয়, সে বিষয়ে লক্ষ রাখা হবে।