জামালপুরে গণধর্ষণের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় গৃহশিক্ষিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে গোলাপ মিয়া ও কুব্বাত আলী নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কুব্বাতকে গত বুধবার ও গোলাপ মিয়াকে গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়। বাড়ি উপজেলার উলিয়া গ্রামে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইসলামপুরের পৌর শহরের নূরনবী নামের এক যুবকের সঙ্গে মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই শিক্ষিকার। বিয়ের কথা বলে গত ২৮ জুলাই নূরনবী গাজীপুরের জিরানী এলাকা থেকে ওই শিক্ষিকাকে ইসলামপুরে নিয়ে আসেন। এরপর সেখানে গত আট দিন গণধর্ষণের পর গত বুধবার শিক্ষিকাকে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান তাঁরা। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে বুধবার রাতে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কুব্বাতকে (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর কুব্বাতের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গোলাপ মিয়াকে (৩২) উলিয়া বাজার থেকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
জামালপুরের সিভিল সার্জন মো. মোশায়ের উল ইসলাম বলেন, ওই শিক্ষিকা আগের দুদিনের চেয়ে অনেকটা সুস্থ। তাঁর জন্য হাসপাতালের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইসলামপুর থানার ওসি দ্বিন-ই-আলম জানান, এ ঘটনায় বুধবার ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা প ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করেছেন। প্রধান আসামি নূরনবীকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ওই শিক্ষিকা গতকাল শুক্রবার তাঁর পরিবারের তথ্য দিয়েছেন। পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে।