কপোতাক্ষকে বাঁচাতে আন্দোলনের ঘোষণা

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্ধকোটি মানুষের জীবন-মরণের সঙ্গে জড়িত কপোতাক্ষ নদ। এ নদ নিয়ে কোনো ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নিলে ফের বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
গতকাল রোববার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলনের নেতারা এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে কপোতাক্ষ নদ বাঁচানোর দাবিতে ১৯ আগস্ট পাখিমারা বিলে টিআরএম-সংশ্লিষ্ট এলাকায় মতবিনিময় ও পরিদর্শন, ২২ আগস্ট সাগরদাঁড়ি, ২৩ আগস্ট মনিরামপুরের ঝাঁপা ও ২৪ আগস্ট ঝিকরগাছার বাঁকড়ায় সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। ২৬ আগস্ট যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও ও ২ সেপ্টেম্বরে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক অনিল বিশ্বাস। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০০৩ সাল থেকে জনগণের আন্দোলনের চাপে নদ সংস্কারে তিন বছরে (২০০৩-০৫) তিনবারে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু প্রতিবারই বরাদ্দকৃত অর্থের অপচয় হয়েছে। পরে কপোতাক্ষ নদ খননের জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ২৬২ কোটি টাকার চার বছর মেয়াদি প্রকল্প ২০১১ সালে অনুমোদন দেন।
এ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ২০১২-১৩ ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তালার পাখিমারা বিলে জোয়ারাধার চালু করার কথা। এ জন্য জমির ক্ষতিপূরণ ও বাঁধ নির্মাণ বাবদ ব্যয় ধরা হয় ১৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। কিন্তু এটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং ষড়যন্ত্র।
কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলনের সাতক্ষীরার সমন্বয়ক সাংসদ মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, কপোতাক্ষের পুনর্জীবিত করতে সালতা, বেতনা, শিবসাসহ সব নদীর প্রাণ ফেরাতে হবে। আরও বক্তব্য দেন ইকবাল কবির জাহিদ। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলনের কলারোয়ার নেতা উপাধ্যক্ষ ময়নুল হাসান, আন্দোলনের তালার সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।