দুর্নীতির দুই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ সেপ্টেম্বর
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় আজ বৃহস্পতিবার অষ্টম সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য করেছেন।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ তারিখ ধার্য করেন। আজ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা-সংলগ্ন মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৩-এর অস্থায়ী এজলাসে এই মামলার বিচারকাজ চলছে। একই আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলারও কার্যক্রম চলছে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় আজ আদালতে সাক্ষ্য দেন সোনালী ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান। মামলার পরবর্তী তারিখে তাঁকে জেরা করবে আসামিপক্ষ।
আজ অষ্টম সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণকে কেন্দ্র করে আদালতে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তর্কবিতর্ক হয়। পরে আদালত সাক্ষীর সাক্ষ্যের অংশবিশেষ প্রত্যাহার করেন।
এর আগে আজ এই মামলায় তিন সাক্ষীকে জেরা করেন খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির আইনজীবীরা। মামলার গত তারিখে (৩ সেপ্টেম্বর) ওই তিনজন সাক্ষ্য দেন। ওই দিন খালেদা জিয়া আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
অন্য দিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট-সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করেন। মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য একই তারিখ (১৭ সেপ্টেম্বর) ধার্য করেন আদালত।
আজ বেলা ১১টার দিকে আদালত প্রাঙ্গণে আসেন খালেদা জিয়া। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। বিএনপির চেয়ারপারসনের আগমনকে কেন্দ্র করে আদালত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট-সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এ খালেদা জিয়া ও তাঁর বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ মোট নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দুটির অভিযোগ গঠন করা হয়।