৪ নভেম্বর থেকে ১৮ দলের ৬০ ঘণ্টার হরতাল

ফাইল ছবি-সাজিদ হোসেন
ফাইল ছবি-সাজিদ হোসেন

নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ৪ নভেম্বর সোমবার সকাল ছয়টা থেকে ৬ তারিখ বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ৬০ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ১৮ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার ব্রিগেডসহ জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত গাড়ি ও দেশে ফেরা হাজিদের বহনকারী গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বলে ঘোষণা করা হয়।
কর্মসূচি ঘোষণা শেষে সাংবাদিকেরা মির্জা ফখরুলের কাছে জানতে চান, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেসএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা হরতালের আওতামুক্ত থাকবে কি না।
জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, কী কী হরতালের আওতামুক্ত থাকবে। কোনো সংশোধনী থাকলে পরে আমরা তা জানাব।

সংবাদ সম্মেলনে সংলাপ না হওয়ার জন্য সরকারকে দায়ী করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, মুখে সংলাপের কথা বললেও তাঁরা সমঝোতা চান না। আর সে কারণে নানা রকম নেতিবাচক নাটক তৈরি করে সংলাপ যেন না হয়, তার ব্যবস্থা করছেন।

প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার ফোনালাপ প্রকাশের বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, সম্পূর্ণ বেআইনি ও অনৈতিকভাবে বিরোধীদলীয় নেতার সম্মতি ছাড়াই গণমাধ্যমে তা প্রচার করা হয়েছে। এটি আইনবিরুদ্ধ ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটা প্রচারের ব্যবস্থা করেছে। সংলাপ যাতে হতে না পারে, সমঝোতার পথ যাতে বন্ধ হয়ে যায়, সে কারণেই সরকার এটা করিয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, গত ২১ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে একটি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা জাতির সামনে তুলে ধরেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও ১৮ দলীয় জোটের নেতা খালেদা জিয়া।

এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে আলোচনা শুরুর আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘আমি নিজে এ বিষয়ে আলোচনা শুরুর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিয়েছিলাম। সংসদে আমাদের সদস্যরা এ রূপরেখা উপস্থাপন করেন।  সরকারি দলের সদস্যরা বিরোধী দলের প্রস্তাবের তিক্ত সমালোচনা করে তাঁরা নাকচ করে দেন। ফলে বাধ্য হয়েই আমাদের আন্দোলনের পথে যেতে হয়।’

বৈঠকে ১৮ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে রেদওয়ানউল্লাহ, রেদোয়ান আহমেদ, খন্দকার লুত্ফর রহমান, গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, হামদুল্লাহ মেহেদী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।