সিরাজগঞ্জে গরু বেশি ক্রেতা কম

সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার তালগাছী পশুর হাটে গতকাল প্রচুর গরুর আমদানি হয়েছে। তবে দাম কম হ​ওয়ায় বিক্রেতারা হতাশ l প্রথম আলো
সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার তালগাছী পশুর হাটে গতকাল প্রচুর গরুর আমদানি হয়েছে। তবে দাম কম হ​ওয়ায় বিক্রেতারা হতাশ l প্রথম আলো

সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থানের গরুর হাটে প্রচুর গরু উঠেছে। তবে ক্রেতার সংখ্যা কম থাকায় কেনাবেচা না হওয়ায় গরুর মালিকেরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। গত এক সপ্তাহে সিরাজগঞ্জের আটটি হাটে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিটি হাটেই প্রচুর গরু উঠলেও ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম।
গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার তালগাছী ও বোয়ালিয়া হাটে গরুর তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। ছোট গরুগুলো কিছু কেনাবেচা হলেও বড় গরু কেনাবেচা প্রায় নেই বললেই চলে। হাট দুটিতে অসংখ্য ছোট-বড় সিন্ধি, অস্ট্রেলিয়ান, ক্রস, শাহিয়াল, দেশিসহ বিভিন্ন জাতের গরুতে ভরপুর। জায়গার অভাবে হাটের মধ্যে চলাফেরা করাই কঠিন। ছোট গরুগুলো ২০ হাজার টাকা থেকে ৪৫ হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে বড় গরুর দাম তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
বোয়ালিয়া হাটের গরু বিক্রেতা শাহ আলম বলেন, গত দুই সপ্তাহে দুটি হাটের মধ্যে শেষ হাটে প্রতিটি গরু পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা কম দামে কেনাবেচা হয়েছে। বড় গরুর ক্রেতাই পাওয়া যাচ্ছে না।

স্থানীয় গরু বিক্রেতা আব্দুল মান্নান বলেন, গত বছর গরুর ব্যবসায়ীরা পাল্লা দিয়ে গরু কেনায় দাম যেমন বেশি ছিল, তেমনি গরুর মালিকেরাও লাভবান হয়েছিলেন। এবার ব্যবসায়ীরা কম দাম দেওয়ায় গরুর মালিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

স্থানীয় গরু ক্রতা শামীম আহমেদ বলেন, ‘গরুর দাম কম হওয়ায় আমরা খুশি। কারণ ভারত থেকে গুরু আসা না আসার উপর গরুর বাজার নির্ভর করে। তবে আমাদের দেশীয় গরু রক্ষার্থে বিদেশি গরু আমদানিতে নীতিমালা করা উচিত।’

গরু ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া বলেন, গতকাল রোববার বৃষ্টিতে গরু কেনাবেচা দূরের কথা, হাটের ভেতর ঢোকাই কঠিন হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া ভারত ও মিয়ানমার থেকে গরু আসায় এর প্রভাবে দেশি গরুর দাম কমছে।

এ বিষয়ে তালগাছী হাটের ইজারাদার গাড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেপারিরা কম আসায় হাটে কেনাবেচা নেই। শুধু স্থানীয় ব্যক্তিরা গরু কিনছেন। ঢাকার বাজারে চাহিদা না থাকায় ব্যবসায়ীরা গরু কিনছেন না।