চার ব্যাংকারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা

সোনালি ব্যাংকের ছয় কোটি ১৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির চার কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার বিকেলে দুদকের উপপরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন। 

যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাঁরা হলেন-সোনালি ব্যাংকের মতিঝিলের স্থানীয় কার্যালয়ের রপ্তানি শাখার সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার জাকির হোসেন, একই শাখার সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার (বর্তমানে অবসরে) কাজী এনামুল হক, বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার (বর্তমানে অবসরে) মফিজুল ইসলাম চৌধুরী, একই বিভাগের সাবেক জ্যেষ্ঠ এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. কামাল হোসেন, পিলুসিড টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান মো. মহসিন আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব-উল-আজম খান ও পরিচালক মো. সফিউল আমিন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সম্পূর্ণ রপ্তানি ব্যর্থতার কারণে পিলুসিড টেক্সটাইল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ঋণপত্রের বিপরীতে সাত কোটি ৯১ লাখ টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থ ডিমান্ড লোন হিসাবে স্থানান্তর করে শ্রেণিকরণ করা হয়। পরবর্তী সময় আরও তিনটি ঋণপত্রের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৭৩ লাখ টাকা ডিমান্ড লোন সৃষ্টি হয়, যা বর্তমানে ‘কু-ঋণ’ হিসেবে শ্রেণিকৃত অবস্থায় রয়েছে।
এসব দায় থাকা সত্ত্বেও ২০১০ সালে দুটি রপ্তানি ঋণপত্রের বিপরীতে ঋণ সুবিধার জন্য ব্যাংকে আবেদন করে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ রপ্তানি ঋণপত্রের বিপরীতে ঋণ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ না থাকলেও ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় ঋণপত্র খোলা হয়। ঋণপত্র খোলার পর মালামাল রপ্তানি হলেও রপ্তানির মূল্য ফেরত আসার আগেই ব্যাংকের পক্ষ থেকে ফোর্সড লোন সৃষ্টি করে ঋণপত্রের বিপরীতে পাঁচ কোটি ৪০ লাখ ৩৪ হাজার ৫২৫ টাকা সরবরাহকারীর ব্যাংকে পরিশোধ করা হয়। এ ছাড়া পিএসসির দায় ৭৫ লাখ টাকাও অদ্যাবধি অসমন্বিত রয়ে যায়। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি সব মিলিয়ে ছয় কোটি ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪৯৯ টাকা আত্মসাৎ করেছে, যা সুদসহ বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ছয় কোটি ৭৭ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৬ টাকা।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চার ব্যাংকার ও পিলুসিড টেক্সটাইলের তিন মালিক অসৎ উদ্দেশে, পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য ওই পরিমাণ সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলা করা হয়।