স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে চান না অর্ধেক নারী জনপ্রতিনিধি

বাংলাদেশের প্রায় ৫০ শতাংশ নারী জনপ্রতিনিধি মনে করেন স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে হওয়া উচিত নয়। ৪৮ শতাংশ মনে করেন, এ নির্বাচন দলীয়ভাবে হতে পারে। দুই শতাংশ এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি।

আজ সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এ সংক্রান্ত এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এ গবেষণা পরিচালনা করে খান ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন। এতে এক হাজার ১৮৬ জন নারী জনপ্রতিনিধির মতামত নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে এই গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য উপস্থাপন করেন খান ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা মোরশেদ আলম। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫১ দশমিক ৯ শতাংশ নারী জনপ্রতিনিধি তাঁদের পুরুষ সহকর্মীদের সহযোগিতা পাচ্ছেন না। ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ নারী বলেছেন, পুরুষ সহকর্মীরা মুখে বললেও কাজের ক্ষেত্রে তাঁদের সহযোগিতা করেন না। মাত্র ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বলেছেন তাঁরা কিছুটা সহযোগিতা পাচ্ছেন। শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ নারী জনপ্রতিনিধি বলেছেন তাঁরা পুরুষ সহকর্মীর কাছ থেকে পুরো সমর্থন পাচ্ছেন।

এ প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫৭ শতাংশ নারী জনপ্রতিনিধির পরিবারের কোনো না কোনো সদস্য রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

প্রতিবেদনে স্থানীয় বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বা নীতি নির্ধারণী বিষয়ে নির্বাচিত নারী সদস্যদের সমান মূল্যায়ন করা, সাধারণ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করাসহ ১৪টি সুপারিশ করা হয়েছে।

খান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রোকসানা খন্দকারের সঞ্চালনায় আজকের এ অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজন নারী জনপ্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হামিদা হোসেন, বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক জারিনা রহমান খান ও ডেমোক্রেসি ওয়াচের প্রধান নির্বাহী তালেয়া রেহমান।