সাংসদ মনজুরুলকে গ্রেপ্তারে বাধা নেই

সাংসদ মনজুরুল ইসলাম
সাংসদ মনজুরুল ইসলাম

শিশু শাহাদাত হোসেনকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনার দুই মামলায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাংসদ মনজুরুল ইসলামকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ-সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনা স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি।
গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর আজ বুধবার শুনানি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ আদেশ দেন।
পরে সাংসদের আইনজীবী মোকছেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের এই আদেশের পর তাঁকে (মনজুরুল) গ্রেপ্তারে আইনগত কোনো বাধা নেই। তাঁর মক্কেল যেকোনো সময় বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্ট সাংসদ মনজুরুল ইসলামকে আত্মসমর্পণ সংক্রান্ত যে আদেশ দিয়েছিলেন তা আজ​ চেম্বার বিচারপতি স্থগিত করেছেন। এর ফলে লিটনকে গ্রেপ্তারে আর কোনো বাধা নেই। তাঁকে গ্রেপ্তারে আদালতের কোনো পরোয়ানার দরকার নেই। পুলিশ তাঁকে যেখানে পাবে, সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করতে পারবে।
গত সোমবার হাইকোর্ট মনজুরুলের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করেন। একই সঙ্গে আসামিকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।
মনজুরুলকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ-সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনা স্থগিত চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি।
আপিল আবেদনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মনজুরুলকে যাতে পুলিশ তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার করতে পারে, এ জন্য তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনা স্থগিতের আবেদন করা হয়।
২ অক্টোবর সাংসদ মনজুরুলের ছোড়া গুলিতে সুন্দরগঞ্জ গোপালচরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শিশু শাহাদাত আহত হয়। দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সে এখন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।