সাংসদ লিটন গ্রেপ্তারের খবরে মিষ্টি বিতরণ

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটনকে গ্রেপ্তারের খবরে আজ বুধবার রাতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহর ও উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে মিষ্টি বিতরণ হয়েছে। গ্রেপ্তারের খবর শোনার আধা ঘণ্টার মধ্যে এসব হাট-বাজারের মিষ্টি শেষ হয়ে যায়। বিশেষত হাট-বাজার ও চায়ের স্টলে উপস্থিত লোকজন আনন্দ উল্লাস করতে থাকেন।

শিশু শাহাদাত হোসেনকে গুলি করে হত্যার চেষ্টার মামলায় সাংসদ মনজুরুল ইসলামকে আজ রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এর পরপরই আনন্দ উল্লাস শুরু করে গাইবান্ধার মানুষ।
উল্লাসকারীরা চিৎকার দিয়ে ‘সত্যের জয়’ হয়েছে বলে স্লোগান দিতে থাকেন। মানুষ নিজের উদ্যোগে সবার মধ্যে মিষ্টি বিলিয়ে দেয়। শিশু শাহাদাতের বাড়ি গোপাল চরণ গ্রামেও ছিল আনন্দের বন্যা। গভীর রাতে গ্রামের ঘুমন্ত মানুষ ঘর থেকে বেড়িয়ে উল্লাস করেন।
সাংসদ গ্রেপ্তারের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সাংসদ গ্রেপ্তার হওয়ায় মনে হচ্ছে সত্যের জয় হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের ওপর সাধারণ মানুষ আস্থা পেয়েছে। অপরাধ করলে গ্রেপ্তার হয়, সাংসদকে গ্রেপ্তারে মানুষ প্রমাণ পেল। এখন তাঁকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম বলেন, সাংসদকে গ্রেপ্তারের খবরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা খুশি। আমাদের দলের নেতা-কর্মীরাও আনন্দ-উল্লাস করছেন। কারণ সাংসদের কর্মকাণ্ডের জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছিল। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারই শেষ নয়। শিশু শাহাদাত যাতে ন্যায় বিচার পায়, সেদিকটি সরকারকে দেখতে হবে।
উপজেলার তারাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন বলেন, সাংসদ হোক আর যাই হোক, অপরাধ করলে কারাগারে যেতে হবে সাংসদ গ্রেপ্তারের পর তা বুঝলাম। আমরা খুবই খুশি। খুবই ভালো লাগছে।