সাক্ষী আসেননি দুই দিন সমন জারির নির্দেশ

কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধবিহারে হামলার ঘটনায় করা একটি মামলায় গত দুই দিনে (গত মঙ্গল ও গতকাল বুধবার) আদালতে হাজির হননি কোনো সাক্ষী। পরে আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছাড়া অন্য সাক্ষীদের আদালতে হাজির হতে সমন জারির নির্দেশ দেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদারের আদালতে ১৮ অক্টোবর থেকে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
সাক্ষী না এলেও গতকাল মামলার আসামি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের সাময়িক বরখাস্ত চেয়ারম্যান তোফাইল আহমদ, কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শহীদুল হকসহ মামলার ৬০ জন আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল মামলার কোনো সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মমতাজ আহমদ আদালতে সময় প্রার্থনা করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২২ ও ২৩ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন। এ ছাড়া আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছাড়া অন্য সাক্ষীদের আদালতে হাজির হতে সমন জারির নির্দেশ দেন।
পিপি মমতাজ আহমদ জানান, ১৮ ও ১৯ অক্টোবর ১০ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিলেও তাঁরা ভয়ে বৌদ্ধবিহারে হামলার সঙ্গে জড়িত আসামিদের নাম বলেননি।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রামুর সীমা বিহার, লালচিং ও সাদাচিং বৌদ্ধবিহারে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনায় করা ওই মামলার সাক্ষী ৩৪ জন। এর মধ্যে ১০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মামলার বাদী রামু থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) উজ্জল কান্তি দাশ; রামুর উত্তর শ্রীকুলের বাসিন্দা বংকিম বড়ুয়া, সন্তোষ বড়ুয়া, মাসুদ রানা, মোজাফফর আহমদ, নুরুল ইসলাম, মো. হোসেন, নুরু মিয়া, হামিদুল হক, মো. মান্নান, মোজাম্মেল হোছাইন ও দিদার মিয়া; ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের হাবিলদার হারুন অর রশিদ, আবদুস সালাম ও আবুল কাশেম এবং নায়েক এবাদুল ইসলাম ও মমতাজুল ইসলাম; রামু থানার তৎকালীন এসআই গাজী মো. ফৌজুল আজিম ও গোবিন্দ শুক্ল দাশ, রেকর্ডিং অফিসার, কনস্টেবল রতন চাকমা, জাকির হোসেন, ইলিয়াছ চৌধুরী ও চাঁদ আলী সাক্ষ্য দেননি।
২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে দুর্বৃত্তরা রামুর ১২টি প্রাচীন বৌদ্ধবিহার ও ৩৪টি বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করে। পরদিন উখিয়া, টেকনাফ ও কক্সবাজার সদরের আরও সাতটি মন্দিরসহ ১১টি বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।