গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির জামিন, নিরাপত্তাহীনতায় গ্রামবাসী

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মাখনের চর গ্রামে হাতি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বেলাল হোসেন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।

প্রতিদিন হাতির পাল গ্রামে ঢুকে বাড়িঘর ও ফসল নষ্ট করলেও প্রশাসন এখনো কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফাঁদ পেতে হাতি হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত রোববার বেলালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে গত সোমবার বেলালকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার আমলী আদালত বেলালকে গত বুধবার জামিন দেন। ওই জামিনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।

বেলাল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ঘটনার দিন বাঘার চর গ্রামের প্রায় ৩০ জন ও মাখনের চর গ্রামের সাতজন লোক হাতি তাড়াতে জেনারেটরটি মাখনের চর গ্রামে নিয়ে যাওয়ার জন্য জিঞ্জিরাম নদী পার হওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর নৌকাটি ৫০০ টাকার ভাড়া নেন তাঁরা। তিনি শুধু নদী পার করে দিয়েছেন। ওই সব লোক জেনারেটর দিয়ে যে ফাঁদ পেতেছেন, তা তাঁর জানা ছিল না বলে দাবি করেন।

এদিকে পুলিশের দাবি, হাতি হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু পাঁচ দিন পার হলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

দেওয়ানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন বলেন, জড়িত ব্যক্তিরা সবাই পলাতক থাকায় ধরা যাচ্ছে না। গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। দ্রুত তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে।

মাখনের চর গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিদিন হাতির পাল গ্রামে ঢুকে বাড়িঘর ও ফসল নষ্ট করলেও জেলা প্রশাসন বা বন বিভাগ গ্রামবাসীর নিরাপত্তায় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, হাতি তাড়ানোর জন্য গ্রামবাসীর সঙ্গে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের লোকজনকে সম্পৃক্ত করা হবে। এ ছাড়া মশাল জ্বালানোর জন্য গ্রামবাসীর জন্য লাকড়ির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ গত বুধবার বলেন, ওই গ্রামে হাতি তাড়াতে বন কর্মকর্তা ও গ্রামের লোকজনের সমন্বয়ে হাতি প্রতিরোধ কমিটি করা হবে। ওই কমিটির বিষয়ে জানতে তাঁর সঙ্গে গতকাল মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাতি তাড়ানো ও নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তাদের।

শেরপুরের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, ওই গ্রামে হাতি তাড়ানো বা নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতিরোধ কমিটি করা হবে। তবে কবে করা হবে, সে বিষয়ে তিনি কোনো কিছু জানাতে পারেননি।