ট্রেনের টিকিট বিক্রি বন্ধ, যাত্রীদের বিক্ষোভ

বুকিং সহকারী না থাকায় দুদিন ধরে জামালপুরের সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি বন্ধ। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে যাত্রীরা আজ শনিবার স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। স্টেশন মাস্টার ইসমাইল হোসেনের দাবি, টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকায় রেল কর্তৃপক্ষের প্রতিদিন ৫৫ হাজার টাকার ক্ষতি হচ্ছে।

স্টেশন মাস্টার জানান, বুকিং সহকারী দুজনই গতকাল শুক্রবার থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এ স্টেশনে টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে।

ইসমাইল হোসেনের ভাষ্য, ‘বুকিং সহকারী হামিদুর রহমান ও আতিকুর রহমান অসুস্থতার কথা বলে গত বৃহস্পতিবার আমার কাছে ছুটির আবেদন করেন। তবে দরখাস্তের সঙ্গে চিকিৎসকের কোনো ব্যবস্থাপত্র ছিল না। এ ছাড়া তাঁরা দুজনই সুস্থ থাকায় আমি তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করিনি। কিন্তু তাঁরা পরের দিন শুক্রবার থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে গতকাল থেকেই টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে।’

অবশ্য গতকাল থেকেই লোকাল ট্রেনের কিছু টিকিট স্টেশন মাস্টার নিজেই বিক্রি করেছেন বলে জানালেন।

এদিকে, আজ বেলা একটার দিকে দুটি ট্রেনের শতাধিক যাত্রী টিকিটের দাবিতে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বিক্ষোভ মিছিল করেন। টিকিট না পেয়ে পরে তাঁরা স্টেশন ছেড়ে যান।

শফিকুল ইসলাম নামে একজন যাত্রী প্রথম আলোকে বলেন, টিকিট কাউন্টার বন্ধ থাকায় টিকিট না পেয়ে তিনি বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

সুলতান মাহমুদ নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘কাউন্টার বন্ধ থাকায় দুদিন ধরে স্টেশনে ঘুরেও টিকিট পাইনি’। মোস্তাফিজুর রহমান নামে আরও এক যাত্রী বলেন, ‘গতকালও (শুক্রবার) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসেছিলাম। কিন্তু কাউন্টারে লোক না থাকায় টিকিট পাইনি’।

অনুপস্থিত থাকা দুই বুকিং সহকারীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁদের পাওয়া যায়নি।

এদিকে টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকায় স্টেশন মাস্টার ইসমাইল হোসেনকে বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকা বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের কার্যালয়ে আগামীকাল (রোববার) তলব করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফ্লোরা বিলকিস জাহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে কেউ এ ব্যাপারে জানায়নি। বিষয়টি আমি দেখব।’