পণ্য পরিবহন নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা

একের পর এক হরতালের কারণে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দরে পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, পণ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় কিছু পণ্য কাছাকাছি গন্তব্যে রাতের বেলায় পাঠানো গেলেও অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। তা ছাড়া কেউ ঝুঁকি নিতে চাইছে না। আর দূরে কোথাও পাঠানো তো সম্ভবই হচ্ছে না।
বন্দরের ট্রাক মালিক ওবায়দুর রহমান হেলেন বলেন, ‘ভাঙচুর-হামলার আশঙ্কায় ভয়ে হরতালে ট্রাক ভাড়া দিচ্ছি না। একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কিস্তিতে একটি ট্রাক নিয়েছি। কিন্তু হরতালের কারণে সময়মতো কিস্তির টাকা দিতে না পারায় সুদ দিতে হচ্ছে। চালককেও বসিয়ে রেখে হাজিরা দিচ্ছি।’
ট্রাক মালিক হজরত আলী সরদার বলেন, গত রোববার তাঁর ট্রাকটি বন্দর থেকে গম নিয়ে খুলনায় যায়। চালক রাতে ফিরে আসতে চাইলে হরতালে ক্ষতি হতে পারে—এই আশঙ্কায় তাঁকে সেখানে থাকতে বলা হয়। চালক ও হেলপারের কাছে খাবারের টাকা তিনি বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন।
ব্যবসায়ী আবদুল খালেক বলেন, রংপুরের একজন ব্যবসায়ী গম নেওয়ার জন্য চাহিদা দিলেও হরতালে ট্রাক ভাড়া না পাওয়ায় তাঁর কাছে গম পাঠানো যায়নি। পরে বন্দর থেকে গম খালাস করে ভাড়া গুদামে রাখা হয়েছে। এতে আর্থিক ক্ষতি গুনতে হচ্ছে।
বন্দরের কাঁচামাল আমদানিকারক সমিতির আহ্বায়ক হারুন উর রশিদ বলেন, ব্যবসায়ীরা আমদানি করা পেঁয়াজ গন্তব্যে পাঠাতে পারছেন না। কোনো ট্রাক মালিক হরতালে ট্রাক ভাড়া দিচ্ছেন না। পেঁয়াজের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছেন। কিন্তু তা বন্দরেই খালাস করে রাখা হচ্ছে।
বন্দরের কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট মনিরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, হরতালে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।