শমসেরকে আওয়ামী লীগের অভিনন্দন

বিএনপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ায় শমসের মবিন চৌধুরীকে অভিনন্দন জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটি বলেছে, বিএনপিতে আরও যাঁরা বিবেকবান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নেতা আছেন, তাঁরাও এক সময় এভাবে বেরিয়ে আসবেন।
আজ বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক যৌথসভায় দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এসব কথা বলেন। জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আগামী ২ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের জনসভাকে সামনে রেখে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে এ যৌথসভা হয়।
যৌথসভায় মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘আপনারা জেনে খুশি হবেন যে বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে, হতাশা ব্যক্ত করে আজ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। আমার বিশ্বাস বিএনপির মধ্যে এখনো যাঁরা বিবেকবান মানুষ আছেন, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, তাঁরা প্রত্যেকেই এই দল থেকে বেরিয়ে আসবেন। খালেদা জিয়া-তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে বিএনপিকে ঢেলে সাজাবেন। তাহলেই বিএনপি মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারবেন। সন্ত্রাস ও নাশকতা সৃষ্টিকারী বিএনপি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা তাঁকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানাই।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী গতকাল বুধবার রাতে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা জানিয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে একটি চিঠি পাঠান। যেহেতু তিনি রাজনীতি ছাড়ছেন, তাই বিএনপির কোনো পদে থাকার সুযোগ নেই বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন। খালেদা জিয়া এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন। এ কারণে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মাধ্যমে তিনি চিঠিটি দেন।
ব্যক্তিগতভাবে কেউ হত্যা করলে এর দায় তাঁকেই নিতে হবে, বিএনপি নেবে না—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের এমন মন্তব্যের বিষয়ে যৌথসভায় হানিফ বলেন, ‘আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, কাইয়ুম সাহেবের ব্যক্তিগতভাবে কেন সেখানে হত্যা করতে যাবে? এ ব্যাপারে নজরুল সাহেব সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। কিন্তু জাতি এটা বোঝে, জানে। এটা কাইয়ুম সাহেবের ব্যক্তিগত বিষয় নয়। এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। এই কাইয়ুম সাহেবকে কে নির্দেশ দিয়েছিল, সেটা খুঁজে বের করা দরকার। এই হত্যাকাণ্ড লন্ডন ষড়যন্ত্রের অংশ। এই হত্যাকাণ্ড এখানকার কোনো নির্দেশে হয় নাই। লন্ডন থেকে নির্দেশ আসার কারণেই হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তাদের অনুরোধ করব, এটা খুঁজে বের করার জন্য।’ তিনি বলেন, নজরুল সাহেব দায় নেবে না বললেও, বাংলাদেশের আইন ও জনগণ এই দায় থেকে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মুক্তি পাওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করে। এ হত্যার দায় বিএনপি ও তার শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নিতে হবে।
যৌথসভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন এবং দুই সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।