'প্রশ্ন ফাঁসের খোঁজ নিয়ো না'

চট্টগ্রামে গতকাল ফিজিকস অলিম্পিয়াডে প্রশ্ন করার জন্য হাত তোলেন শিক্ষার্থীরা l ছবি: প্রথম আলো
চট্টগ্রামে গতকাল ফিজিকস অলিম্পিয়াডে প্রশ্ন করার জন্য হাত তোলেন শিক্ষার্থীরা l ছবি: প্রথম আলো

পরীক্ষা শেষ হয়েছে একটু আগে। কিন্তু ঝিরঝির বৃষ্টির কারণে শোভাযাত্রা শুরু হতে দেরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি উপেক্ষা করেই নগরের পাঁচলাইশের প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে থেকে শোভাযাত্রা নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শাহ আলম বীর উত্তম মিলনায়তনে হাজির হয় হাজারো শিক্ষার্থী।
পদার্থবিজ্ঞানচর্চায় উৎসাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে চট্টগ্রামে গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হলো ষষ্ঠ ডিবিবিএল বাংলাদেশ ফিজিকস অলিম্পিয়াডের চট্টগ্রাম বিভাগের উৎসব ও প্রতিযোগিতা। এতে বিজয়ী ৬০ শিক্ষার্থী আগামী ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অলিম্পিয়াডের চূড়ান্ত আসরে অংশ নেবে।
গতকাল বেলা ১১টায় উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন লেখক ও শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ইয়াসমিন হক, প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল (অব.) মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের উপাধ্যক্ষ ই ইউ এম ইনতেখাব প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সবচেয়ে মূল্যবান বস্তু হচ্ছে মানুষের মস্তিষ্ক। প্রত্যেকের মধ্যেই তা আছে। কিন্তু তোমরা নিজেদের প্রশ্ন করো, এর কতটুকু ব্যবহার করছ? তোমাদের প্রতি একটাই পরামর্শ, চর্চার মাধ্যমে মস্তিষ্ককে বাড়াও। অল্পতে সন্তুষ্ট থেকো না। চিন্তা করো, পাঠ্যবই পড়ো। কোচিং কিংবা গাইড নিয়ে পড়ে থেকো না।
জাফর ইকবাল বলেন, যারা ফিজিকস অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছে, তারা বিজ্ঞানকে ভালোবেসে এসেছে। নিয়মিত বিজ্ঞানচর্চার মাধ্যমে মানুষ তার চিন্তাভাবনা ও মস্তিষ্ককে অনেক ধাপ ওপরে নিয়ে যেতে পারে। উদ্বোধনী বক্তব্য শেষে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানবিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দেন তিনি। প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে এক শিক্ষার্থীর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁস হলো কি না, তোমরা সে বিষয়ে কখনো খোঁজও নিয়ো না। যারা ফাঁস করা প্রশ্নে পরীক্ষা পাস করে, তারা জীবনে বেশি দূর যেতে পারে না।’
প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগের শতাধিক বিদ্যালয় ও কলেজের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’—এই তিন বিভাগে সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়। চট্টগ্রামে ষষ্ঠবারের মতো এ আয়োজন করেছে প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।