একটি বিদ্যায়তন, অনেক স্বপ্ন, অনেক প্রত্যাশা

‘বড় হয়ে আরও বড় স্কুলে যেতে চাই’। রাশেদা কে চৌধূরীকে (মাঝে) স্বপ্নের কথা জানাচ্ছে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা। ছবি: সাহাদাত পারভেজ
‘বড় হয়ে আরও বড় স্কুলে যেতে চাই’। রাশেদা কে চৌধূরীকে (মাঝে) স্বপ্নের কথা জানাচ্ছে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা। ছবি: সাহাদাত পারভেজ

ঢাকা মহানগরের অদূরে গাবতলী সিটি কলোনি—ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আবাসস্থল। ছোট ছোট ঘরে স্বামী-স্ত্রী তাঁদের সন্তানসন্ততি নিয়ে বসবাস করেন। আমাদের মহানগরকে পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব তাঁদের। কিন্তু সমাজের অন্য মানুষেরা তাঁদের অন্য চোখে দেখেন, তাঁদের সন্তানদের লেখাপড়া, মানুষ হয়ে ওঠার কোনো চেষ্টা তাই সহজে চোখে পড়ে না। দিনের বেলা শহর পরিচ্ছন্ন রাখার কাজে ব্যতিব্যস্ত থাকেন এই কলোনির নারী-পুরুষ সবাই। রাতের বেলায় অন্য চিত্র। মাদকের অবাধ ব্যবহার, পুরুষের অস্বাভাবিক আচরণ, সন্ত্রাসীদের আনাগোনা আর ঘরে ঘরে নির্যাতনের শিকার নারীর কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে এ এলাকার পরিবেশ। এর মধ্যেই বড় হতে থাকে ছেলেমেয়েরা।

কিন্তু অমানিশার অন্ধকারে প্রদীপের আলো যেমন দ্যুতি ছড়ায়, তেমনি ওই এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পরিচালিত একটি বিদ্যায়তন দেখে অবাক হলাম, অনুপ্রাণিত হলাম। অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও মানব সন্তানের অদম্য ইচ্ছা আর জ্ঞানলাভের স্পৃহা যে কত সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে তার চাক্ষুষ প্রমাণ গাবতলী সিটি কলোনির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের এই একটি বিদ্যায়তন। এটিকে এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মূলধারার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাধারায় পরিচালিত এ ধরনের শিক্ষাকেন্দ্রে তারাই পড়ে, যারা কখনো স্কুলে যায়নি, যাওয়ার সুযোগ পায়নি অথবা গেলেও ঝরে পড়েছে। এদের বয়স চার থেকে ১০ বছরের মধ্যে। মা-বাবা সবাই সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী, তথাকথিত ‘ভদ্র সমাজে’ যাঁদের ঠাঁই মেলে না! নামীদামি স্কুল তো দূরের কথা, মূলধারার সরকারি-বেসরকারি বেশির ভাগ বিদ্যালয়ে যাঁদের সন্তানদের পড়ালেখার সুযোগ হয় না!

অর্থবিত্তের দাপটে অনেক শিক্ষিত অভিভাবক চান না তাঁদের সন্তানেরা এদের সঙ্গে একই স্কুলগৃহে পড়ালেখা করুক! এর সঙ্গে যুক্ত হয় ক্রমবর্ধমান শ্রেণীবৈষম্যের ধারা, শিক্ষার ঢালাও বাণিজ্যিকীকরণের লাগামহীন স্রোত। সেই স্রোতে ভেসে যায় সুবিধাবঞ্চিত মানব সন্তানের শিক্ষালাভের স্পৃহা—কত স্বপ্ন, কত আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ থেকে যায়।

ধরিত্রী ফাউন্ডেশন পরিচালিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সন্তানদের জন্য এ ধরনের পাঁচটি শিক্ষাকেন্দ্রে প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী নিয়মিত তাদের শ্রেণীকক্ষে আসে, শিশুবান্ধব পরিবেশে শিক্ষকদের সঙ্গে লেখাপড়া করে। মূলধারার জন্য এনসিটিবির যে বইপুস্তক নির্ধারিত, সেগুলো নিয়ে পাঠদানের সঙ্গে সঙ্গে চলে ছড়া পাঠ, আবৃত্তি, গান-বাজনা। শিশুদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো শ্রেণীকক্ষ।

আমি যখন সহকর্মীদের নিয়ে গলি-ঘুপচি পেরিয়ে গাবতলী সিটি কলোনির ভেতরে সেই শ্রেণীকক্ষে গিয়ে ঢুকলাম, তখন ঘড়িতে সকাল ১০টা ৩০ মিনিট। এখানে যন্ত্রচালিত কোনো বাহনের প্রবেশগম্যতা নেই, রিকশা, সাইকেলও চোখে পড়ল না। চার থেকে ১০ বছর বয়সী জনা ত্রিশেক শিশু উচ্চ স্বরে স্বাগত জানাল আমাদের। হাসিমুখে এগিয়ে এলেন নারী শিক্ষক। চাটাই পাতা মেঝেতে সব শিশুর মাঝখানে বসে পড়লাম আমি। কোনো জড়তা ছিল না কারও চোখে-মুখে, সপ্রতিভ কৌতূহলী দৃষ্টিতে কথা বলতে শুরু করল তারা। একজন বলল তার নাম শওকত, বয়স ১০ বছর, এই বিদ্যায়তনে কয়েক মাস ধরে আসছে। এত দিন কোথাও পড়তে যায়নি কেন জিজ্ঞেস করতেই বলল, সরকারি স্কুল তো রাস্তার অন্য পাড়ে, বেশ দূরে, ছোট ছিলাম তাই মা যেতে দেয়নি। শিক্ষক বিষণ্ন বদনে জানালেন, গাবতলীর বড় সড়কে রাস্তা পার হতে গিয়ে কিছুদিন আগেও তাঁদের একজন শিক্ষার্থী ট্রাকের নিচে প্রাণ দিয়েছে। তাই সবাই রাস্তার ওপারে স্কুলে পাঠাতে ভয় পান। কিছু শিক্ষার্থী মূলধারার বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে পারলেও অন্য শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের নেতিবাচক মনোভাবের কারণে ঝরে পড়েছে। তাঁরা এখন চেষ্টা করছেন স্কুলগুলোর যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও ওই সব অভিভাবকের সঙ্গে অ্যাডভোকেসি করে পরিস্থিতির উন্নতি করার জন্য।

বেশির ভাগ শিশুই বলল, বড় হয়ে আরও বড় স্কুলে যেতে চায়। তাদের স্বপ্নটা ওখানেই থেমে গেছে। এর বেশি ভাবনা, এর চেয়ে বড় স্বপ্ন আমরা ওদের দেখাতে পারিনি। প্রতিনিয়ত যাঁদের জীবন অন্য মানুষের হাঁটাচলার পথ পরিষ্কারের কাজে ব্যাপৃত, তাঁরা তাঁদের সন্তানদের আগামীর পথটা এখনো স্বপ্ন দিয়ে গড়ে তুলতে পারছেন না, এ দায় কার? সরকারের? নাকি সমাজের? কিন্তু রাষ্ট্র যেমন এসব শিশুর শিক্ষার দায় এড়াতে পারে না, তেমনি সমাজও তো এ দায় পাশ কাটিয়ে যেতে পারে না।

ছোট্ট আরেকটি শিশু, নাম তার হালিমা, বয়স বলতে পারে না। অপুষ্টির শিকার শিশুটি, কিন্তু সব দাঁত উঠে গেছে দেখে বুঝলাম সম্ভবত পাঁচ বছর হবে। বলল, মা কাজ করে, বাবা কিছু করে না, তবুও প্রতিদিন বাবা মাকে মারে। সঙ্গে সঙ্গে আরও কয়েকটি কচিকণ্ঠ শুনলাম, ‘আমার মাকেও বাবা মারে।’ ভাবলাম, এই অকপট বিবরণ তো এ দেশের অনেক নারীর অনেক অবদমন, অনেক মানবাধিকার লঙ্ঘনেরই ধারাভাষ্য। এ নির্যাতন থেকে কখন মুক্তি পাবে নারী?

একজন শিক্ষার্থী, নাম তার জরিনা। বয়স জানাল আট বছর। আর কত দিন পড়ালেখা করবে জানতে চাইলে বলল, ‘এখানে পড়া শেষ করলে মা বলেছে বিয়ে দিয়ে দেবে। কারণ, বড় স্কুলে পড়ার অনেক খরচ, মা দিতে পারবে না।’ তার কথা শুনে মনে হলো এটাই তো এ দেশের অগণিত পরিবারে মেয়ে হয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের বাস্তব চিত্র। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও বলছে, বাংলাদেশের ৬০ শতাংশের বেশি মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় ১৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে! এ দেশে মেয়েশিশুর শিক্ষার ক্ষেত্রে যত অর্জন, সেটি এভাবেই ম্লান হয়ে যায়, প্রশ্নবিদ্ধ করে আমাদের সমাজব্যবস্থাকে, শ্লথ করে দেয় নারীর অগ্রযাত্রাকে।

কিন্তু এটাও তো সত্যি যে এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমরা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় ছেলেমেয়ের সমতা অর্জন করেছি। এর পেছনে অবশ্যই কাজ করেছে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সহায়ক নীতিমালা। নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনের পর কয়েকবার সরকার পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু মেয়েশিশুর শিক্ষার ব্যাপারে কেউ পিছিয়ে যায়নি অথবা এক সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ আরেক সরকার এসে বাতিল করে দেয়নি। আমাদের দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল এখানে অবশ্যই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে।

এটিও আজ অনস্বীকার্য যে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কালে শিক্ষার জন্য ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেশী ভারতের অনেক রাজ্যে এখনো এটি করা সম্ভব হয়নি, যেখানে অনেক সময় গ্রামের কৃষক সোজাসাপ্টা বলে দেবে, লেখাপড়া শিখে কী লাভ? অথচ আমাদের দেশের যেকোনো শ্রমজীবী মানুষকে জিজ্ঞেস করলে তিনিও উত্তর দেবেন—‘পড়াতে তো চাই। কীভাবে, কোথায় পড়াব? খরচ চালাব কী করে?’ আপামর জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষার এই চাহিদা তৈরি করতে পারাটাও কম বড় অর্জন নয়।

সব নাগরিকের শিক্ষা নিশ্চিতকরণের দায়িত্ব অবশ্যই রাষ্ট্রের। সেখানে বিনিয়োগও নিশ্চিত করতে হবে রাষ্ট্রকেই। কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থায় বহুমুখী বৈষম্য তৈরির ফলে পরিবারগুলোকে অনেক বেশি বিনিয়োগ করতে হচ্ছে, যেটি আগে রাষ্ট্র করত। বহু তথ্যভিত্তিক গবেষণায় আজ এটি প্রমাণিত। গাবতলীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সন্তানদের জন্য পরিচালিত বিদ্যালয় আমাকে আবারও সেই কঠোর বাস্তবতাটি স্মরণ করিয়ে দিল।

গাবতলীর ওই শিক্ষাকেন্দ্রের শিশুদের জন্য আমরা অনেক সহজপাঠ্য বই উপহার নিয়ে গিয়েছিলাম। ‘মাছ ধরা’ শিরোনামের একটি সচিত্র বইয়ের প্রচ্ছদ দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ‘এ ছবিতে কী আছে বলো তো?’ চার-পাঁচজন সমস্বরে বলে উঠল ‘বড়শি! এটি দিয়ে মাছ ধরে।’ অবাক বিস্ময়ে ভাবলাম, আমাদের শহরাঞ্চলের তথাকথিত অনেক নামীদামি স্কুলের এই বয়সী বেশির ভাগ বাচ্চা ‘বড়শি’ কী জিনিস তা হয়তো বলতেই পারবে না। কিন্তু ‘কম্পিউটার’ বা ‘ভিডিও গেম’ কী নিশ্চয়ই বলতে পারবে! আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় জ্ঞান আহরণের ক্ষেত্রে এই যে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে, এর দায় কার?

বাংলাদেশের সংবিধানে সবার জন্য ‘একই ধারার শিক্ষা’ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। সেটা থেকে আমরা ধীরে ধীরে অনেক দূরে সরে এসেছি। এ মুহূর্তে অনেক ধরনের শিক্ষাপদ্ধতি চালু রয়েছে বাংলাদেশে। শুধু প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রেই ১১টি ধারা চালু আছে। তবে মোটা দাগে তিনটি ধারা বিরাজমান—বাংলা মূলধারা, ধর্মীয় ও ইংরেজি মাধ্যম। এসব শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের সমাজব্যবস্থা ও চিন্তাচেতনায় একধরনের বৈষম্য তৈরির হাতিয়ার হয়ে উঠছে।

তা ছাড়া ঢালাও বাণিজ্যিকীকরণের সুযোগ অবারিত থাকায় প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে ভুইফোঁড় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মোটামুটি তদারকির একটি ধারার মধ্যে আনার চেষ্টা হয়েছে ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ প্রণয়নের মাধ্যমে। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে প্রতিষ্ঠিত হাজার হাজার কিন্ডারগার্টেন ও মাদ্রাসার ওপর সরকারের তদারকি তেমন নেই। গ্রামে-গঞ্জে বেশির ভাগ মাদ্রাসায় থাকা-খাওয়া ফ্রি। দরিদ্র অভিভাবকেরা স্বভাবতই সেদিকে বেশি ঝোঁকেন। কিন্তু সেখানে শিক্ষার মান কী রকম, মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে তাদের কোনো সংগতি আছে কি না, এসব বিষয়ে অনেক প্রশ্ন আছে।

নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে অনেক দিন ধরে দাবি করা হচ্ছে, স্থানীয় সরকারকে শিক্ষা তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হোক। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে স্থানীয় সরকারকে ঠুঁটো জগন্নাথ করে রাখা হয়েছে। এদের কাছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তদারকির ভার দিলে অনেক তথ্য পাওয়া যেত এবং শিক্ষার মানও ভালো হতো। কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের বিশাল শিক্ষাব্যবস্থার মান বাড়ানো কীভাবে সম্ভব, সেটি একটি বড় প্রশ্ন।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শিশু-কিশোরদের শিক্ষার দায়িত্ব কার বোঝা গেল না। একটি বেসরকারি সংগঠনকে প্রতি শিক্ষাকেন্দ্রের জন্য একটি করে পাঁচটি কক্ষ বরাদ্দ দিয়েই তাঁরা দায়মুক্ত হয়েছেন মনে হলো। ঢাকা সিটি করপোরেশন দ্বিখণ্ডিত হওয়ার পর এখন আরও করুণ অবস্থা! নির্বাচিত কোনো জনপ্রতিনিধি নেই, এই এলাকার কোনো অভিভাবকও নেই। কবে যে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটবে তা অনিশ্চিত।

শিশুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে একসময় শিক্ষক মনে করিয়ে দিলেন, ছুটির সময় হয়ে গেছে। শিশুরা সবাই লাইন করে দাঁড়িয়ে গেল। শিক্ষক বললেন, ‘চলো, আজ আমরা সবাই গান গাইতে গাইতে আপাকে কলোনির বাইরে দিয়ে আসি।’ শুরু হলো গলির ভেতর দিয়ে মিছিলে পথচলা আর গান, ‘আমরা করব জয়...বুকের গভীরে আমরা জেনেছি, আমরা করব জয় একদিন।’ অনেক স্বপ্ন নিয়ে ঘরে ফিরেছি সেদিন, এসব শিশু লেখাপড়া করে বড় হবে, আলোকিত মানুষ হবে। কিন্তু আমরা যারা শিক্ষার আলো পেয়েছি, তারা কি এই প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের স্বপ্ন দেখাতে পারছি? পারছি কি এ পৃথিবীকে তাদের বাসযোগ্য করে তুলতে? প্রশ্নটা আমার নিজের কাছে, সমাজের কাছে, রাষ্ট্রের কাছে থাকল। অশান্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সংঘাত, সহিংসতা, সম্পদের সীমাবদ্ধতা—সবকিছু সত্ত্বেও আশা করি একদিন এ প্রশ্নের সদুত্তর মিলবে।

রাশেদা কে চৌধূরী: নির্বাহী পরিচালক, গণসাক্ষরতা অভিযান; সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা