সাভারে কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ

ঢাকার সাভারের সাধাপুর গ্রামে গতকাল শুক্রবার রাতে এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়, ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ওই কিশোরীকে একটি গোপন স্থানে আটকে রাখা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ আজ শনিবার মেয়েটিকে উদ্ধার করে। কিশোরীর তথ্যের ভিত্তিতে ধর্ষক বলে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

কিশোরীটি বাবা-মায়ের সঙ্গে সাভার পৌর এলাকায় থাকে। সেখানে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে সে।

ওই কিশোরীর ভাষ্য, সপ্তাহ দুয়েক আগে জীবন নামের সাধাপুর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে জীবন গতকাল রাত আটটার দিকে তাকে সাধাপুর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে ইজিবাইকে করে বাসায় ফেরার পথে জীবনসহ কয়েকজন ওই ইজিবাইক থেকে তাকে অপহরণ করে একটি বাঁশবাগানের ভেতরে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে কিশোরীটি অসুস্থ হয়ে পড়লে একটি পিক-আপ ভ্যানে করে তাকে সাভারের হেমায়েতপুরে পৌঁছে দেওয়া হয়। সেখান থেকে ওই রাতেই সে বাসায় যায়। আজ সকালে অনেকটা সুস্থ হলে তার ওপর নির্যাতনের বিচার চাইতে সে জীবনের বাড়িতে যায়। এ সময় গ্রামের কয়েকজন লোক তাকে জীবনের বাড়িতে আটকে রাখে।

ওই গ্রামের লোকজনের ভাষ্য, খবর পেয়ে সাংবাদিকেরা আজ ওই এলাকায় গেলে কিশোরীটিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের চাপে কিশোরীটিকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ইজিবাইক চালক হাসান মাহমুদের ভাষ্য, সাধাপুর থেকে সাভার যাওয়ার পথে কিশোরীটিকে নিয়ে তিনি ঘাসমহল এলাকায় পৌঁছালে দুটি মোটরসাইকেল আর একটি পিক-আপ নিয়ে এসে কয়েকজন তরুণ কিশোরীটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এর পর কী হয়েছে, তা তাঁর জানা নেই।

সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর আজ সকালে মেয়েটি তাঁর মোবাইল ফোনের জন্য সাধাপুর জীবনের বাড়িতে গেলে স্থানীয় এক প্রভাবশালী তাকে ওই বাড়িতে আটকে রাখেন। পরে সংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। চাপের মুখে কিশোরীটিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিশোরীটিকে নিয়ে থানায় ফেরার পথে সে একজনকে ধর্ষক বলে শনাক্ত করলে তাকে আটক করা হয়। অন্যদের আটক করার চেষ্টা চলছে।

সাভার মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রাসেল শেখ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মেয়েটি গণধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মেয়েটির চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।