সমঝোতা বৈঠকে ক্ষমা চাইলেন হামলাকারীরা

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার সীমান্ত এলাকায় লঞ্চযাত্রীদের ওপর হামলাকারীরা দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। গতকাল রোববার বাঘাইছড়ি উপজেলার আমতলী বাজারে দুই উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সমঝোতা বৈঠকে তাঁরা ক্ষমা চান। তবে বৈঠকে হামলায় আহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
গত শনিবার বাঘাইছড়ি থেকে রাঙামাটি যাওয়ার পথে বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার মাঝামাঝি এলাকায় একদল জেলে লঞ্চের যাত্রীদের ওপর হামলা চালান। এতে তিন নারীসহ পাঁচজন আহত হন।
গতকাল রোববার সকাল সোয়া ১০টায় আমতলী বাজারের মাঠে দুই উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে সমঝোতা বৈঠকটি হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বড়ঋষি চাকমা।
বৈঠকে বক্তব্য দেন সেনাবাহিনীর লংগদু জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহাবুবুর রহমান, লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন, লংগদু উপজেলার গুলছোখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহিম, সারোয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যতীন রায় চাকমা, আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাহেব আলী ও খেদারমারা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সন্তোষ কুমার চাকমা প্রমুখ।
বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বড়ঋষি চাকমা বলেন, সমঝোতা বৈঠকে তিন হামলাকারীকে ধরে আনা হয়ে। তাঁরা দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে না জড়ানোর জন্য তাঁদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।