হরতাল না করার অঙ্গীকার করতে হবে

নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে টেলিফোনে যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তা এখনো বহাল আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে আলোচনায় সরকার সব সময়ই প্রস্তুত আছে। তবে এ জন্য তাঁদেরও হরতাল না করার অঙ্গীকার করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী নেতারা সাক্ষাৎ করতে এলে তাঁদের এমন কথাই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে এসব কথা জানিয়েছেন।
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সমঝোতার উদ্যোগের অংশ হিসেবে দুই নেত্রীর সঙ্গে বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। এরই অংশ হিসেবে গত শনিবার বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল তাঁরা সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্মদ। সঙ্গে ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আকরাম হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, মীর নাসির হোসেন, আনিসুল হক, এ কে আজাদ, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি মো. সবুর খান, বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম, বিটিএমএর সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামীন প্রমুখ। বেলা ১১টার কিছু সময় পর শুরু হওয়া এ বৈঠক চলে প্রায় দুই ঘণ্টা।
বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে বৈঠকে ব্যবসায়ীরা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের মধ্যে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং তিনিও সে প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছিলেন। গতকালের বৈঠকে একাধিক ব্যবসায়ী নেতা জানান, প্রধানমন্ত্রীর কাছেও একই প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে বলেছেন, দুই দলের এই দুই নেতার মধ্যে তো প্রায়ই কথা হয়। গত বুধবারও এক অনুষ্ঠানে কথা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সব সময়ই প্রস্তুত। তাঁকে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া আছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, এফবিসিসিআইয়ের একজন সাবেক সভাপতি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনার যদি সময় হয় কালই (শুক্রবার) মিন্টু সাহেবকে (আবদুল আউয়াল মিন্টু) দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাকে নিয়ে আসি।’