কক্সবাজারে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি, নিহত ১

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোমরিয়া ঘোনা ঢালারমুখ এলাকায় গতকাল সোমবার ভোরে দুদল সন্ত্রাসীর মধ্যে গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ বলছে, নিহত আবদুর রশিদ (৪৫) ‘রশিদ বাহিনীর’ প্রধান। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামে। রশিদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হত্যা, ডাকাতি, অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে ছয়টি মামলা আছে। এলাকায় তিনি ‘রইস্যা ডাকাত’ নামে পরিচিত।
গত অক্টোবরে কক্সবাজার শহরতলির পাহাড়ে সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের ভাষ্যমতে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল ভোর চারটার দিকে ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী সড়কের ভোমরিয়া ঘোনা ঢালারমুখ এলাকায় সন্ত্রাসী রশিদ ও ভেটকাইয়া বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি হয়। সকাল ছয়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
ঈদগাঁও পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মিনহাজ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেন, পুলিশ জঙ্গল থেকে রশিদ বাহিনীর প্রধান আবদুর রশিদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে। তাঁর শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। তিনি বলেন, জমি দখল, অপহরণ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে এই গোলাগুলি হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য রশিদের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৩ অক্টোবর ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী সড়কের রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের পানেরছড়াঢালায় ডাকাতেরা অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে তিনজনকে অপহরণ করে। পরের দিন পুলিশ ঈদগড়ের জঙ্গল থেকে তাঁদের উদ্ধার করে। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, ওই অপহরণের ঘটনায় করা মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন আবদুর রশিদ। তিনি আরও জানান, রশিদের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ বলেন, গত ১১ অক্টোবর ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী সড়কের ধুমছাকাটা এলাকা থেকে রশিদ বাহিনীর লোকজন স্থানীয় চারজন কৃষককে অপহরণ করেন। পরদিন তাঁরা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পান। তিনি বলেন, ডাকাতি ও অপহরণ আতঙ্কে ওই সড়কে সন্ধ্যার পর যান চলাচল বন্ধ থাকে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেন, ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের অর্ধেকের দুই পাশে গহিন জঙ্গল। ডাকাতেরা সড়কে লুটপাট করে জঙ্গলে পালিয়ে যায়। এ জন্য তাদের ধরা পুলিশের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে।