চুয়াডাঙ্গায় যুবলীগের আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে চুয়াডাঙ্গা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। গত সোমবার অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জেলা যুবলীগ কর্মী আজিজুল ইসলাম খুন ও আওয়ামী লীগ কর্মী বুদো মণ্ডল আহত হওয়ার ঘটনায় ওই কমিটিকে বিলুপ্ত করা হয়েছে। প্রায় দুই মাস আগে এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। 

যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইন্টারনাল কনফ্লিক্টে চুয়াডাঙ্গায় একজন মারা গেছে। এ জন্য ওই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান বলেন, গত সোমবার রাতে যুবলীগ কর্মী আজিজুল খুন হওয়ার ঘটনার বিস্তারিত জেনে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ১৪ নভেম্বর গঠিত জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ছিলেন আরেফিন আলম ওরফে রঞ্জু। নানা কারণে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে এখানে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়নি। গত ১২ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় যুবলীগ ওই আহ্বায়ক কমিটিকে বিলুপ্ত করে ২১ সদস্যের নতুন কমিটি অনুমোদন করে।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুর রহমান চৌধুরী ওরফে জিপু চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং আলমডাঙ্গার চিতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়। নতুন এই আহ্বায়ক কমিটি গঠনের খবর চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছালে যুবলীগের নেতৃত্ব প্রত্যাশী নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ও তাঁর সমর্থকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। জেলা যুবলীগ বিভক্ত হয়ে যায়। গণমাধ্যমে পাঠানো হয় বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতি। কমিটির বিরুদ্ধে চলতে থাকে পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল-শোডাউন।
এসব ঘটনার সূত্র ধরে গত সোমবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ওবায়দুর রহমান চৌধুরী ওরফে জিপু চৌধুরীর সমর্থক ও জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান জোয়ার্দারের ভাতিজা যুবলীগ নেতা নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে নঈমের সমর্থক বলে পরিচিত আজিজুল ইসলাম খুন হন। আহত হন আওয়ামী লীগের কর্মী বুদো মণ্ডল।