কালকিনিতে পাঁচ দিন পর মামলা নিল পুলিশ

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর এক পরীক্ষার্থী ও তার খালা ধর্ষণের শিকার হওয়ার পাঁচ দিন পর পুলিশ মামলা নিয়েছে।
অসুস্থ শিশুটি মাদারীপুর সদর হাসপাতাল থেকে গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
কালকিনি উপজেলার ডাসার থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে উপজেলার এক অটোরিকশাচালক তাঁর মেয়ে, স্ত্রী ও স্ত্রীর বোনকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত দুইটার পর একই গ্রামের আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ-ছয়জন দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে সবাইকে বেঁধে রেখে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে।
তারা গৃহকর্তা ও তাঁর স্ত্রীকে বেঁধে রেখে গৃহকর্তার মেয়ে (প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার্থী) ও স্ত্রীর বোনকে তুলে নিয়ে যায়। পরে বাড়ির পাশে একটি ফসলি জমিতে নিয়ে তাদের ধর্ষণ করে। ভোররাতে তারা তাদের মাঠে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
গ্রামের মানুষ সকালে তাদের উদ্ধার করেন।
মেয়েটির বাবা শনিবার সকালে ডাসার থানায় গিয়ে ঘটনাটি জানান। কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। মেয়ে দুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে রোববার মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মানবাধিকার ও গণমাধ্যমকর্মীদের চাপে গতকাল বুধবার ডাসার থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়। ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে আমজাদ হোসেন ও অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।
মেয়েটির মা বলেন, ‘জীবনের প্রথম মেয়েটির গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। ওর এখন বাড়ি বসে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা। নরপশুদের জন্য তাকে হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। সকালে মেয়েকে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়েছিলাম। সে পরীক্ষার খাতায় লিখতে পারে না। শুধু কান্না করে। আমরা গরিব মানুষ, তাই পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে চায়নি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদারীপুর সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের এক চিকিৎসক বলেন, মেয়ে দুটির শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক দাবি করেন, ‘মেয়েটির বাবা থানায় এসেছিল ডাকাতির ঘটনা জানাতে। তাদের বলেছিলাম লিখিত অভিযোগ দিতে। পরবর্তী সময়ে তারা আর আসে নাই। লিখিত অভিযোগ পাওয়ায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।’