আপিল করতে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ

মাগুরা পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী খুরশীদ হায়দার ওরফে টুটুলের হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করতে পারলেন না স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল আকবর ওরফে কল্লোল। গতকাল বুধবার ছিল আপিলের শেষ দিন।
মাহবুবুল আকবর গতকাল বুধবার বিকেলে দাবি করেন, খুরশীদ হায়দারের জন্মতারিখ দুটি। হলফনামা ও হলফনামার সঙ্গে সংযুক্ত কাগজপত্রেই তার প্রমাণ রয়েছে। এমনকি হলফনামার সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তাঁর দাখিল করা এসএসসি পাসের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের অনুলিপিটিও ভুয়া। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী তাঁর প্রার্থিতা বাতিল হওয়া উচিত।
মাহবুবুল আকবর বলেন, ‘আজ (গতকাল বুধবার) বেলা তিনটার দিকে আমি আমার দুই সহকারীকে নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করতে যাই। কিন্তু আমাকে বলা হয় তিনি অফিসে নেই। জেলা প্রশাসকের ব্যক্তিগত সহকারী (সিএ) হাফিজুর রহমান ই-সেবা কেন্দ্রে আপিল আবেদনটি জমা দিতে বলেন। বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানালে তিনিও জেলা প্রশাসকের অফিসের ই-সেবা কেন্দ্রে আপিলটি জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক আবদুল মান্নান ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলামের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ই-সেবা কেন্দ্র দখল করে রেখেছেন। তাঁরা আপিলটি জমা দিতে বাধা দেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমার সহকারী রাজু আহমেদের কাছ থেকে আপিল আবেদনটি কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন এবং তাঁকে আটকে রাখেন। তাঁরা আমাকে গালাগাল করেন। আমি দ্রুত সেখান থেকে চলে আসি। যে কারণে আপিল করতে পারিনি।’
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে গতকাল সন্ধ্যায় রেজাউল ইসলামের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ধরেননি। আর আবদুল মান্নান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি গতকাল ওই ই-সেবা কেন্দ্রে যাননি।
মাগুরা জেলা প্রশাসক মুহ. মাহবুবর রহমান গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কারও আপিল করার কোনো খবর আমার কাছে নেই। আপনি ই-সেবা কেন্দ্রে খোঁজ নিতে পারেন কেউ আপিল করেছেন কি না।’
মাহবুবুল আকবর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি নানামুখী চাপে আছি। এমন অন্যায়, ক্ষমতার প্রভাব মেনে নেওয়া যায় না। আওয়ামী লীগের একজন নেতা ও মেয়র প্রার্থী হয়েও অন্য প্রার্থীর হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগটি জেলা প্রশাসকের কাছে দাখিল করতে পারলাম না। আমাকে আপিল করতে দেওয়া হলো না।’