আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ সাংসদের বিরুদ্ধে

নড়াইলের কালিয়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাংসদ কবিরুল হক মুক্তির বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানানো সত্ত্বেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অপসারণের দাবিতে কালিয়া শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। গত রোববার রাত ১০টার দিকে এ মিছিল ও সমাবেশ হয়।

সাংসদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. ওয়াহিদুজ্জামান হীরা জেলা প্রশাসকসহ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, রোববার রাত নয়টার দিকে সাংসদ ছোট কালিয়ার একটি বাড়িতে উঠান বৈঠক করছিলেন। বিষয়টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলামকে অবহিত করা হয়। তিনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে কালক্ষেপণ করে ওই উঠান বৈঠকে না গিয়ে উল্টো ওই গ্রামে মেয়র প্রার্থীর আত্মীয় ও নৌকা প্রতীকের সমর্থক মো. শরিফুল ইসলামকে অযথা হয়রানি করেন।এরপর রাত সাড়ে নয়টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়াহিদুজ্জামান হীরার নির্বাচনী কার্যালয়ে তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান হীরা প্রথম আলোকে বলেন, সাংসদকবিরুল হক তাঁর পছন্দের মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মুশফিকুর রহমানের পক্ষে কৌশলে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ করলেও ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম বলেন, সাংসদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ পাওয়ামাত্র ঘটনাস্থলে গিয়ে এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ‘আমার অপসারণের দাবিতে কালিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে এটা ঠিক। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে নৌকার সমর্থকদের হয়রানি করাসহ যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়।’ এ ব্যাপারে কবিরুল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।