বিএনপির প্রার্থী পলাতক, প্রচারণা চালাচ্ছেন স্ত্রী

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বি এম মোস্তাফিজ। তিনি বাস পোড়ানো মামলায় পলাতক রয়েছেন। এ কারণে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন স্ত্রী নাজনীন আক্তার।
উপজেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ভেদরগঞ্জ মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে রাতে কে বা কারা একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করে। ওই মামলায় মোস্তাফিজসহ বিএনপির ২৭ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। মামলা হওয়ার পর থেকে মোস্তাফিজ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি পলাতক থাকায় তাঁর স্ত্রী নাজনীন প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাঁদের নোহা মনি (৪) ও ফিহা মনি (দুই মাস ১০ দিন) নামের দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। নাজনীন ওই দুই কন্যাকে সঙ্গে নিয়েই ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে স্বামীর জন্য ভোট ও দোয়া চাইছেন।
নাজনীন আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীকে খুঁজতে পুলিশ প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসে। আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি। দল তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে, এ নির্বাচন তাঁর জন্য মর্যাদার লড়াই। ভোটারদের কাছে প্রার্থনা করছি, তাঁদের একটি ভোটই আমার স্বামীকে সবার মাঝে ফিরিয়ে দিতে পারে। স্বামীর সম্মান রক্ষা করতে শত কষ্ট সহ্য করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। শিশুদের কষ্ট দেখে মানুষ আমার পাশে দাঁড়িয়েছে।’
মোস্তাফিজের বাবা আবদুর শুকুর আলী ব্যাপারী বলেন, মিথ্যা মামলার জন্য ছেলে পলাতক রয়েছে। তাঁর ছেলে গ্রেপ্তারের ভয়ে প্রচারণা চালাতে পারছে না।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার নাসির উদ্দিন বলেন, সে সময় মশার কয়েল থেকে আগুন ধরে বাসের কিছু অংশ ক্ষতি হয়েছিল। এরপর ওই বাস পোড়ানোর ঘটনায় রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে পুলিশ একটি মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এখন মোস্তাফিজ গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারছেন না।
ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কবিরুল ইসলাম বলেন, ওই মামলার কয়েকজন আসামি জামিনে রয়েছেন। তবে মোস্তাফিজ এখনো জামিন পাননি। ওই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।