সাক্ষ্য দিলেন সাবেক মেজর জেনারেল ইসমাইল

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসংক্রান্ত হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় মেজর জেনারেল (অব.) ইসমাইল ফারুক চৌধুরী সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিপক্ষের জেরা শেষে আদালত আগামী বছরের ৩ জানুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এ তারিখ ধার্য করেন।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ এজলাসে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা হত্যা ও বিস্ফোরক মামলার বিচারকাজ চলছে।

সাক্ষী ইসমাইল ফারুক আদালতকে বলেন, তিনি ২০০৪ সালে ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডের কমান্ডার ছিলেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর তিনি মিলিটারি অপারেশনস (এমও) পরিদপ্তর থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ঘটনাস্থলে বোমা নিষ্ক্রিয় দল পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওই দলে সাত থেকে আটজন ছিল। ওই দল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ থেকে একটি এবং গোলাপাশাহ মাজারের কাছ থেকে আরেকটি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড উদ্ধার করে ধ্বংস করে। পরের দিন গুলিস্তান রেলওয়ে হকার্স মার্কেট ও ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর থেকে গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। তৎকালীন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রফিক ওই অবিস্ফোরিত গ্রেনেড ক্যান্টনমেন্টে নিতে নির্দেশ দেন। গ্রেনেড দুটি ধ্বংস করার আগে স্থিরচিত্র গ্রহণ করা হয় এবং গ্রেনেডের বর্ণনা লিপিবদ্ধ করা হয়। দেখে মনে হয়েছে, আর্জেস গ্রেনেড।

পরে আসামিপক্ষ ইসমাইল ফারুক চৌধুরীকে জেরা করে।

এই মামলায় মোট সাক্ষী ৪৯১ জন। তাঁদের মধ্যে আজ পর্যন্ত ২০৪ জনের সাক্ষ্য-জেরা শেষ হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মামলাটির প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান।

আজ সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর আগে এ মামলায় কারাগারে আটক সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, জঙ্গিনেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ২৩ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৮ জন আসামি পলাতক এবং আটজন জামিনে। আর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে এই মামলার আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২২ জন নিহত হন। শেখ হাসিনাসহ আহত হন দলের কয়েক শ নেতা-কর্মী।