আদালতের আদেশে নির্বাচনী ফিরলেন মেয়র আলতাফ

বরগুনার বেতাগী পৌরসভা নির্বাচনে বাতিল হওয়া প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বর্তমান মেয়র আলতাফ হোসেন। গত মঙ্গলবার উচ্চ আদালতের দ্বৈত বেঞ্চ আলতাফ হোসেনের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়ার পক্ষে আদেশ দেন। আদালত তাঁকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দিয়েছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও বেতাগীর রিটার্নিং কর্মকর্তা দুলাল তালুকদার গতকাল বুধবার দুপুরে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘উচ্চ আদালতের রায়ের কপি গতকাল আমরা হাতে পেয়েছি এবং গতকাল দুপুরেই তাঁকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে “রেলগাড়ির ইঞ্জিন” প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড থেকে বেতাগী পৌরসভায় মেয়র পদে বর্তমান মেয়র আলতাফ হোসেনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। ২ ডিসেম্বর দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত অপর এক চিঠিতে আলতাফ হোসেনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। চিঠিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম গোলাম কবিরকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু আলতাফ হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একই দিন এ বি এম গোলাম কবিরও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ জন্য বেতাগীর রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের প্রথম দিন ৫ ডিসেম্বর আলতাফ হোসেনের প্রার্থিতা বাতিল করেন। পরে তিনি জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে সেখানে তাঁর প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ বহাল থাকে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আলতাফ হোসেন ১৫ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতে এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার উচ্চ আদালতের দ্বৈত বেঞ্চ তাঁকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আদেশ দেন।
এদিকে গতকাল সকালে আলতাফ হোসেন ঢাকা থেকে বেতাগী আসেন। এ সময় তাঁর সমর্থকেরা তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। যোগাযোগ করা হলে আলতাফ হোসেন বিশ্বাস গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যাপারে আমার আর কোনো বাধা নেই।’
প্রসঙ্গত, ৩ ডিসেম্বর বেতাগীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র পরিবর্তনের চিঠি ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে বয়ে নিয়ে আসেন বরগুনা-২ আসনের সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান ওরফে রিমন। এ নিয়ে ৪ ডিসেম্বর প্রথম আলোতে ‘বিদ্রোহের পর প্রার্থী বদল, হেলিকপ্টারে করে মনোনয়নপত্র’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়।