প্রচারে মাইক ব্যবহার না করে কথা রেখেছেন তাঁরা

শব্দদূষণ রোধে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা মাইক ব্যবহার করবেন না মর্মে অঙ্গীকার করেছিলেন। সেই অঙ্গীকার তাঁরা রক্ষা করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কেউই প্রচারকাজে মাইক ব্যবহার করেননি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভায় মেয়র পদে ২ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৩ জন ও কাউন্সিলর পদে ৪৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরপরই সব প্রার্থী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, চুনারুঘাট পৌরসভাকে তাঁরা শব্দদূষণ থেকে মুক্ত রাখতে চান। অর্থাৎ কেউ নির্বাচনী প্রচারণায় মাইক ব্যবহার করবেন না। এ অঙ্গীকার তাঁরা রক্ষা করেছেন। গতকাল পর্যন্ত কেউ মাইক ব্যবহার করেননি।
পৌরসভার ভোটার শেফালী রায় বলেন, তাঁর এলাকায় এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী মাইক ব্যবহার করেননি। এ কারণে শব্দদূষণের ঘটনা ঘটেনি। আরেক ভোটার ফিরোজ মিয়া বলেন, উন্নত বিশ্বে যে রকম নির্বাচনী প্রচারণা হয়, ঠিক তেমনি চুনারুঘাট পৌরসভায় হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের সব প্রার্থীকে তাঁদের প্রার্থীদের অনুসরণ করা উচিত।
গত বুধবার সরেজমিনে চুনারুঘাট পৌর শহরে মাইকযোগে কোনো প্রার্থীর প্রচারণা দেখা যায়নি।
বর্তমান মেয়র ও বিএনপির প্রার্থী নাজিম উদ্দিন ওরফে শামছু বলেন, ‘শব্দদূষণ একটি মারাত্মক সমস্যা। সবার কথা বিবেচনায় নিয়ে আমরা প্রার্থীরা সিদ্ধান্ত নিই, মাইক ব্যবহার করব না। এ অঙ্গীকার সবাই রক্ষা করেছেন—খুব ভালো লাগছে।’
আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইফুল আলম বলেন, এখন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময়। তাদের পড়াশোনায় যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, সে কারণেই আমরা সিদ্ধান্ত নিই মাইক ব্যবহার না করার।’
চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শব্দদূষণের বিরুদ্ধে চুনারুঘাট পৌরসভার প্রার্থীদের অবস্থান সবার কাছে খুবই প্রশংসিত হয়েছে।