দখল-দূষণে বিপর্যস্ত কহলখালী খাল

কক্সবাজারের পেকুয়ার কহলখালী খাল দখল করে গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা। গত মঙ্গলবার কবির আহমদ চৌধুরী বাজার এলাকা থেকে তোলা ছবি l প্রথম আলো
কক্সবাজারের পেকুয়ার কহলখালী খাল দখল করে গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা। গত মঙ্গলবার কবির আহমদ চৌধুরী বাজার এলাকা থেকে তোলা ছবি l প্রথম আলো

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার কহলখালী খালের পাড় দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে অনেক অবৈধ স্থাপনা। খালে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এতে খাল ভরাট হয়ে পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে খালটি খননের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, পেকুয়া উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের সঙ্গে লাগোয়া কহলখালী খালের পাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে অনেক অবৈধ স্থাপনা। এতে পানিপ্রবাহে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া খালে বাজারের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। খাল থেকে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ।
স্থানীয় লোকজন বলেন, বর্জ্য ফেলার কারণে খালের পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। অথচ বোরো মৌসুমে এই খালের পানি দিয়ে অন্তত ১০০ একর জমিতে সেচ দেওয়া হয়। এ ছাড়া খালটি দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে বর্ষায় বৃষ্টির পানি ঠিকমতো নামতে পারে না। এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
পেকুয়া সদরের বাইম্যাখালী গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন রশিদ ও বেলাল উদ্দিন বলেন, খালটি ভরাট ও দখল হয়ে যাওয়ায় গত বছর পেকুয়া সদরে বন্যা দেখা দেয়।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত ২৭ ডিসেম্বর অন্তত তিন কিলোমিটার দীর্ঘ কহলখালী খাল খননের ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মারুফুর রশিদ খানের সভাপতিত্বে সভা হয়। এতে স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে উপদেষ্টা করে এবং পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহকে সমন্বয়ক করে নয় সদস্যের বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়।
পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ প্রথম আলোকে বলেন, শিগগিরই কহলখালী খাল খনন শুরু হবে। এ জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমদ, আবদুল করিম ও এনামুল হক বলেন, কহলখালী খাল দখল করে গড়ে তোলা বহুতল ভবন উচ্ছেদ না করলে খনন করে কোনো লাভ হবে না।
ইউএনও মো. মারুফুর রশিদ খান বলেন, পেকুয়া কবির আহমদ চৌধুরী বাজার থেকে চৌমুহনী স্টেশন পর্যন্ত কহলখালী খাল ২৫-৩০ ফুট চওড়া করে খনন করা হবে। যেসব স্থাপনা খনন কাজ বাধাগ্রস্ত করবে, সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে। কোনো চাপের মুখে খনন কাজ বন্ধ হবে না।