জন্মদিনে ভালোবাসায় সিক্ত তাসমিমা হোসেন

‘অনন্যা’ পুরস্কার দিয়ে যিনি দেশের গুণী নারীদের বিশেষ ‘স্বীকৃতি’ দিয়েছেন, সেই শীর্ষ নারী আবিষ্কারকের জন্মদিনটা অন্য রকম হবে না, তা কী করে হয়? জন্মদিনের অনুষ্ঠান বললে যে রকম জাঁকজমক, আনুষ্ঠানিকতার কথা মনে আসে, তেমন নয়। তবে ছিল নিখাদ শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও প্রীতিতে উষ্ণতায় ভরা। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে।
গতকাল মঙ্গলবার ইত্তেফাক-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও পাক্ষিক অনন্যার সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের ৬৫তম জন্মদিনে তাঁর সুহৃদ-শুভাকাঙ্ক্ষীরা করেছিলেন এ আয়োজন। উদ্দেশ্য, ‘অনন্যা’ পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে তিনি নারীদের যে সাহস দিয়েছেন, সেই গল্প শোনা আর ফেলে আসা দিনের স্মৃতিচারণার মধ্য দিয়ে এই গুণী নারীর সান্নিধ্যে খানিকটা সময় কাটানো। মঞ্চে এক বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থার স্বপ্ন দেখা তাসমিমা হোসেনকে নিয়ে কথা হয়, কবিতা পাঠ হয়। শুরুতেই উইমেন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ দেশের সব নারী সাংবাদিকের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে তাসমিমা হোসেনকে শুভেচ্ছা জানায়। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সাংবাদিক ফারজানা রূপা। অনুষ্ঠানে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে আসেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং ইত্তেফাক-এর প্রকাশক তারিন হোসেন।
সুহৃদদের ভালোবাসায় সিক্ত তাসমিমা হোসেন বলেন, ‘আশির দশকে নারী স্বাধীনতা ও নারী অধিকার নিয়ে কাজ করাটা সহজ ছিল না। সত্য বড় কঠিন জেনেই এই বন্ধুর পথটি বেছে নিয়েছি।’
কাজী রোজীর কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরুতে সালমা আলী বলেন, আজকে তিনি নারীদের সাহস জুগিয়ে যাচ্ছেন। প্রিয়ভাষিণী বলেন, ‘তাসমিমা কেবল নারীদের জন্য নয়, মানবসমাজের জন্য কাজ করেন। তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।’ দীপু মনি বলেন, তাসমিমা হোসেনের হাসিমাখা মুখ দেখলেই তাঁর মন ভালো হয়ে যায়।
ফুল দিয়ে তাসমিমা হোসেনকে শুভেচ্ছা জানান তাঁর অনেক অনুরাগী ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। কার্টুনিস্ট আহসান হাবিব ও সুইডেনপ্রবাসী আরিফুর রহমান তাসমিমা হোসেনের ক্যারিকেচার পাঠিয়েছেন। অনুষ্ঠানের এক ফাঁকে সুহৃদদের নিয়ে কেক কাটেন তাসমিমা হোসেন। পরে নৃত্য পরিবেশন করেন সাধনা সংস্কৃতি প্রসারে কেন্দ্রের শাম্মী আক্তার ও তানু আহমেদী। এ ছাড়া মুন্নী ও তানিয়ার নৃত্য আলেখ্য সবাইকে মুগ্ধ করে।